Home Top Ad

স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায় ১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা। ২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা। ৩। সম্ভোগের আগে যোনিদে...

স্ত্রীকে তৃপ্তি দেওয়ার উপায় দেখুন

স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়
১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা।
২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা।
৩। সম্ভোগের আগে যোনিদেশ, ভগাঙ্কুর কামাদ্রি আলতো ভাবে ঘর্ষণ করা।
৪। ভগাঙ্কুর মর্দন।
৫। মৈথুনকালে স্তন মর্দ্দন।
৬। সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্যপরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রী যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হ’তে পারে।

0 coment�rios:

বর্তমানকার দিনে অনেক পুরুষের যৌন জীবন ততোটা সুখকর নয়। এর প্রধান কারণ নিজের মনের দুর্বলতা,  অবৈধ যৌনজীবন চর্চা এবং পর্যাপ্ত খাদ্য খাবারের ঘা...

যে খাবার খেলে পুরুষের লিঙ্গ মোটা হয়

বর্তমানকার দিনে অনেক পুরুষের যৌন জীবন ততোটা সুখকর নয়। এর প্রধান কারণ নিজের মনের দুর্বলতা,  অবৈধ যৌনজীবন চর্চা এবং পর্যাপ্ত খাদ্য খাবারের ঘাটতি।আজ আপনার ডক্টরের আর্টিকেল যে খাবার খেলে পুরুষের লিঙ্গ মোটা হয় তার উপর। চলুন শুরু করা যাক।

দুধ

বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
ঝিনুক

আপনার যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, ঝিনুক যৌনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যাসপারাগাস

আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।
কলিজা

অনেকেই কলিজা খেতে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার প্রভাব ইতিবাচক। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও আপনার যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।
ডিম

ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা (testosterone) বৃদ্ধি পাবে।
রঙিন ফল

পড়ুন  যে সকল খাবার খেলে মৃত্যু অনিবার্য জেনেও বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়
যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।
মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। আপনার শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।
কফি

কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড ঠিক রাখে।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে ডার্ক চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরোতে যা আপনার যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ট্রাফল (এক ধরনের ছত্রাক)
ট্রাফলে পুরুষের যৌন হরমোনের মত একধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে, নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। যেমন ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয়।
জয়ফল

পড়ুন  বীর্যের মান উন্নত করে যে খাবারগুলো

ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
তৈলাক্ত মাছ

তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গরুর মাংস

কলিজার মত গরুর মাংসেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে শুধু এর আকৃতিই আকর্ষণীয় না, এতে প্রচুর ভিটামিন বি-সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এর ফলে এটা খেলে আপনার যৌন ইচ্ছা এবংযৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। এই ফলের এই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যটির কারণে একে স্প্যানিশ প্রিস্টরা নিষিদ্ধ করেছিল।
ওটমীল

ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। যেসব দানাজাতীয় শশ্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে। যেমন গম, চাল, রাই ইত্যাদি। ফাইটোস্ট্রজেন আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই কার্যকরী।
পালং শাক ও অন্যান্য সবজি

পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক,ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।
বাদাম ও বিভিন্ন বীজ

পড়ুন  মেয়েদের যে যে খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত
কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়।
যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের (Testosterone)মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।

আপনার যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনার পাশে।জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর health সাইটে।মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন।ধন্যবাদ

0 coment�rios:

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। একে জেসটেশনাল হাইপারটেনশন বলে।  এটি দুই ধরনের হয়। অনেকের গর্ভধারণের পর উচ্চ রক্তচাপ হয়। আব...

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। একে জেসটেশনাল হাইপারটেনশন বলে।  এটি দুই ধরনের হয়। অনেকের গর্ভধারণের পর উচ্চ রক্তচাপ হয়। আবার অনেকে  আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তারা সন্তান নিতে চাইলে  আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। 

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নাজনীন রশীদ। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কোনো নারী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। তিনি সন্তান নিতে চান। তার আগেভাগেই কোনো প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ রয়েছে কি না? বা তার প্রতি আপনাদের কোনো পরামর্শ রয়েছে কি?

উত্তর : এটা অনেক ভালো প্রশ্ন এবং রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। অনেক রোগী রয়েছে, যিনি জানেন তিনি হাইপারটেনসিভ। সে পরিকল্পিতভাবে গর্ভ ধারণ করছে। তবে সে সচেতন নয়। আমাদের দেশে এখনও প্রি কনসিভ কাউন্সেলিং বিষয়টি গড়ে ওঠেনি। তবে যাওয়াটা ভালো। আমি হয়তো একটি ওষুধ দেব, যেটি এমনিতে তার জন্য ভালো, তবে গর্ভাবস্থায় তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আমরা তাকে নিরাপদ ওষুধ দিব। এই জিনিসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ওষুধ না খেলে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। এই কারণে আমাদের একে বদলানো প্রয়োজন।

তবে আমাদের দেশে দুঃখজনক হলেও সত্য খুব শিক্ষিত দম্পতিরাও গর্ভধারণের পরেই আমাদের কাছে আসে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি

0 coment�rios:

ব্রণের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগি। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে ব্রণ হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা, ...

ব্রণ দূর করার ছয়টি ঘরোয়া উপায়

ব্রণের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগি। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে ব্রণ হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য নষ্ট করতে ব্রণ অনেকাংশেই দায়ী। সুস্থ-সুন্দর ব্রণমুক্ত ত্বক দেখতে কার না ভালো লাগে? তাই ঘরে বসে ব্রণ দূর করতে হেলথ ডটকম দিয়েছে কিছু পরামর্শ।

এসপিরিন

নিউইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট এবং স্কিন রুলস বইয়ের লেখক ডেবরা জেলিমান জানান, এসপিরিন হলো এক ধরনের সলিসিলিক এসিড। একনি বা ব্রণ দূর করার পণ্যগুলোতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসপিরিন গুঁড়ো করে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তুলার মধ্যে লাগিয়ে এই পেস্ট সরাসরি ব্রণের মধ্যে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

চা-গাছের তেল

চা-গাছের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা-গাছের তেল তুলার মধ্যে লাগিয়ে খুব নরমভাবে ব্রণ ও দাগে লাগান। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ব্রণ সেরে উঠেছে। 

বরফ

ড. জেলিমান জানান, গোড়ালি মচকে গেলে এর ফোলা কমাতে বরফ কাজ করে। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে।

লেবুর রস

লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। রয়েছে এল-এসকোরোবিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। একটি তুলোর টুকরোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। সারা রাত রাখুন। ব্রন দূর করতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর।

রসুন

রসুনের গন্ধ হয়তো আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ দূর করে। রসুন দেহের বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধেও উপকারী। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। রসুনে রয়েছে এলিসিন ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রসুন কেটে পানির সঙ্গে পেস্ট করুন। এরপর ব্রণের মধ্যে পাঁচ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মধু

ব্রণ দূর করতে মধুও খুব উপকারী। মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি আপনি মাস্কের মতো মুখে লাগাতে পারেন। পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এর ভেতর আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে।

0 coment�rios:

জ্বর প্রচলিত একটি সমস্যা। শিশুর জ্বর হলে মা-বাবা একটু উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বৈকি। অনেকে আবার জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে দ...

শিশুর জ্বর : কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

জ্বর প্রচলিত একটি সমস্যা। শিশুর জ্বর হলে মা-বাবা একটু উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বৈকি। অনেকে আবার জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে দৌড়ান। তবে শিশুর জ্বর হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত?

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৪৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. রিয়াজ মোবারক। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের এইচডিইউ ও আইসেলেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : শিশুর জ্বর হলে কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

উত্তর : সামান্য জ্বর হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে দ্রুত যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি বেশি জ্বর হয়, আপনি যদি নাও বলেন আসতে, তবুও মা চলে আসবে। এখন যেটা হচ্ছে, অনেকে এত বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছে যে সামান্য জ্বর হলেও ভাবেন চিকিৎসকের কাছে একবার যাই। শুরুর দিকে কিন্তু আমরা বাসায় চিকিৎসা করতে পারি। জ্বরের জন্য যে প্যারাসিটামল সিরাপ, প্যারাসিটামল সাসপেনশন, সেগুলো দিতে পারি। আমরা মোটামুটি জানি বিষয়টি। আমরা তো প্রায়ই ব্যবহার করি। সেটাই খাইয়ে, কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গা মুছে, মাথা একটু ধুয়ে দিতে হবে। এর পর যদি সবজি খাওয়ার বয়স হয়, তাহলে সবজি খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি লেবুর রস, তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাইয়ে আমরা দেখতে পারি শিশু কেমন থাকে।

এরপরও যদি জ্বর না কমে, বিশেষ করে যদি তিন/ চার দিন হয়ে যায়, তাহলে একজন বিশেষজ্ঞকে দেখানো যেতে পারে।

0 coment�rios:

বিভিন্ন কারণে একজন মানুষের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শ্বাসকষ্টের কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৮তম পর্বে ক...

শ্বাসকষ্টের কারণ কী?

বিভিন্ন কারণে একজন মানুষের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শ্বাসকষ্টের কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৯৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক এ কে এম মোস্তফা হোসেন। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হসপিটালের বক্ষব্যাধি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন :  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণগুলো কী?

উত্তর : প্রধান কারণ অনেকগুলো হতে পারে। তার মধ্যে আসল হলো ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা। একে আমরা বাংলাতে হাঁপানি বলি। দুই নম্বর হলো নিউমোনিয়া, তিন নম্বর হলো ফুসফুসে পানি জমে যাওয়া। চার নম্বর হলো ফুসফুসে ক্যানসার। এ ছাড়া হার্টের অনেক কারণ রয়েছে। হার্টের রোগ থেকে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট হয়। এরপর নেফ্রটিক সিনড্রম বা কিডনির কারণ থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এরপর মেটাবলিক অনেক কারণ রয়েছে, সেগুলো থেকে হতে পারে। ইন্টেগ্রিয়াল প্রেশার থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিভিন্ন আঘাত পেলে এর থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এগুলো মোটামুটি প্রচলিত। অনেকের দেখা গেল হঠাৎ চিংড়ি মাছ খেল, ইলিশ মাছ খেল, তার ভীষণ শ্বাসকষ্ট আরম্ভ হলো। আবার অনেকে হয়তো খারাপ খবর শুনলো, দুর্ঘটনা ঘটলো সামনে, এগুলো থেকেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। নার্ভের দুর্বলতার জন্য শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

0 coment�rios:

নিউমোনিয়া খুব প্রচলিত সমস্যা শিশুদের ক্ষেত্রে। সময়মতো চিকিৎসা না নিয়ে এ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।  কী করে বুঝবেন? ১. যদি শিশু স্বাভ...

শিশুর নিউমোনিয়া হলে করণীয়

নিউমোনিয়া খুব প্রচলিত সমস্যা শিশুদের ক্ষেত্রে। সময়মতো চিকিৎসা না নিয়ে এ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

কী করে বুঝবেন?

১. যদি শিশু স্বাভাবিকের চেয়ে নিম্নরূপে দ্রুত শ্বাস নেয়-

বয়স                    প্রতি মিনিটে

০- ২ মাস               ৬০ বা তারও বেশি

২-১২ মাস              ৫০ বা তারও বেশি

১-৫ মাস                ৪০ বা তারও বেশি

২. শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের নিচের অংশ ভেতরের দিকে বসে গেলে

৩. শ্বাস- প্রশ্বাসের সঙ্গে খিচুনি হলে

৪. বুকের দুধ সহজে টানতে না পারলে বা পানি পান করতে না পারলে।

৫. দুই মাসের কম বয়সী শিশুর জ্বর বা শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে গেলে।

শিশুর নিউমোনিয়া যদি কেবল ওপরের এক  এবং দুই নং উপসর্গের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে ঘরে বসেই শিশুর চিকিৎসা করা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে কী করবেন?

যেহেতু সর্দি কাশিতে বুকের দুধ খাওয়া শিশুর কষ্টকর হয়ে পড়ে, তাই শিশুর নাক পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন সে নির্বঘ্নে বুকের দুধ ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে। এটি তাকে রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং দ্রুত সুস্থ করে তুলবে।
যেসব শিশু মায়ের বুকের দুধ খায় না, তাদের অল্প পরিমাণ খাবার বারে বারে খাওয়াতে হবে।
সর্দি কাশিতে আক্রান্ত শিশুকে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি পানীয় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে, লেবুর শরবত, অল্প গরম পানি, হালকা লিকার চা, মধু খাওয়ানো যেতে পারে। এতে সর্দি কাশির উপশম হবে।
আক্রান্ত শিশুর জ্বর থাকলে তাকে জলপট্টি ( যদি শিশুর বয়স দুই মাসের কম হয়) কিংবা প্যারাসিটামল খাইয়ে ( এ ক্ষেত্রে শিশুর বয়স দুই মাসের বেশি হতে হবে) জ্বর কমানো যেতে পারে। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন আক্রান্ত শিশুর শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে না যায়। কাজেই তাদের কাপড় দিয়ে নাক পরিষ্কার করা উচিত।
উল্লেখিত তিন, চার, ও পাঁচ নং উপসর্গ দেখা দিলে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
কী করবেন না?

অযথা অ্যান্টিবায়োটিক ও কফ সিরাপ ব্যবহার করবেন না।
ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখবেন না। তবে কনকনে ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলতে হবে।
বড়দের সর্দি কাশি হলে শিশুদের কাছে যাবেন না। 

0 coment�rios:

সারা দেশে তীব্র তাপদাহ বয়ে চলছে। এর মধ্যে কখনো কখনো খানিকটা বৃষ্টির দেখা মিললেও শেষ পর্যন্ত গরম কমছে না। বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা,  কাঠফা...

গরমে শিশুদের যত্নে করণীয়

সারা দেশে তীব্র তাপদাহ বয়ে চলছে। এর মধ্যে কখনো কখনো খানিকটা বৃষ্টির দেখা মিললেও শেষ পর্যন্ত গরম কমছে না। বাতাসে অস্বাভাবিক আর্দ্রতা,  কাঠফাটা রোদ, সব মিলিয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। তীব্র গরমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা ও রোগব্যাধি বাড়ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গরমের সময়ই মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই এ সময়ে সতর্ক হয়ে না চললে যেকোনো সময়ই আপনি অসুস্থ হতে পারেন।

গরমে শিশুদের জন্য বিশেষ সাবধানতা 

এই গরমে শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকটি বিশেষভাবে ভাবতে হবে। শিশুদের বাইরের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে ঘরে তৈরি টাটকা খাবার খাওয়ান।  এই গরমে নবজাতক ও ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

প্রতিদিন অন্তত চার থেকে ছয়বার প্রস্রাব হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে। যদি কম হয়,  সে ক্ষেত্রে পানি বা তরল খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। গায়ে ‎র‌্যাশ ও ঘামাচি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ ওষুধের দরকার নেই। ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিতে হবে এবং ঠান্ডা বা নিরাপদ পরিবেশে শিশুকে রাখতে হবে।

প্রতিদিন গোসল ও দিনে দুই থেকে তিনবার শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। নবজাতকদের জন্য বুকের দুধ বারবার দিতে হবে। নরম ও পাতলা কাপড় পরাতে হবে।

0 coment�rios:

যে সব মহিলারা আধ্যাত্মিক পথে যান তাদের ভৌতিক সুখ ভোগের প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না৷ জীবনের আনন্দটা তারা ঈশ্বরের সাধনার মধ্যে দিয়েই লাভ করেন৷...

শারীরিক মিলনের বেশী আকাঙ্খা থাকে আধ্যাত্মিক মহিলাদের

যে সব মহিলারা আধ্যাত্মিক পথে যান তাদের ভৌতিক সুখ ভোগের প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না৷ জীবনের আনন্দটা তারা ঈশ্বরের সাধনার মধ্যে দিয়েই লাভ করেন৷ এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত৷

সম্প্রতি একটি গবেষনায় প্রমানিত হয়েছে যে সব আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা করেন তাদের মধ্যে শারীরিক মিলনের তীব্র আকাঙ্খা জন্মায়৷ কিছুদিন আগেই কেটুকি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষনা করেছেন৷ তাদের রিসার্চে ধরা পড়েছে আধ্যাত্মিক পথে যে সব পুরুষরা যান তাদের নিজেদের মধ্যে সংযমটা বজায় রাখতে পারেন৷ কিন্তু মহিলাদের মধ্যে যাদের বয়সটা কম হয়, তাদের শারীরিক মিলনের তীব্র আকাঙ্খা জন্মায়৷

0 coment�rios:

কেগেল ব্যায়াম/কেগেল এক্সারসাইজ/ কেজেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises) প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্...

কেজেল ব্যায়াম: মহিলাদের জন্য গাইড


কেগেল ব্যায়াম/কেগেল এক্সারসাইজ/ কেজেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises) প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। এখানে কেগেল ব্যায়াম কিভাবে সঠিক ভাবে করতে হয় তার একটা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়ার চেষ্টা করা হলো।

কেগেল ব্যায়াম শ্রোর্ণী মেঝের পেশীকে দৃঢ এবং শক্তিশালী করে যা জরায়ু, মূত্রথলি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। আপনি প্রায় যে কোনো সময়ে শুয়ে বা বসে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। এমনকি গর্ভবতী অবস্থায়ও করা যেতে পারে।

কেন কেগেল ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ- সেটা আগে বুঝতে হবে।
অনেক কারণে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থা থেকে সন্তান প্রসব, বয়স বৃদ্ধি, এমনকি মুটিয়ে গেলে বা ওজন বৃদ্ধি পেলেও এমন হতে পারে। এ কারণে শ্রোণী অঙ্গ থেকে জননাঙ্গর অনেক পেশী ঢিলা হয়ে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে। এতে প্রস্রাবের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

কেগেল ব্যায়াম কিছু অবশ্যম্ভাবী ঘটনাকে বিলম্বিত করে, শ্রোর্ণী অঙ্গ স্থানচ্যুতি এবং সম্পর্কিত উপসর্গ প্রতিরোধ করে আপনার তারুণ্য অনেকদিন ধরে রাখতে পারে। এছাড়া যাদের চরমপূলক লাভে সমস্যা হয় তাদের জন্যও এটা উপকার হতে পারে।

কিভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে হয়- সেটা জানার আগে আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশী চিহ্নিত করে নিতে হবে এবং কিভাবে পেশী সংকুচন এবং প্রসারণ করতে হয়।


      প্রথমে পেশী খুঁজে নিতে হবে। জননাঙ্গর ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে পার্শ্ববর্তী পেশীগুলো সংকুচন করার চেষ্টা করুন। আপনার জননাঙ্গ আঁটা এবং আপনার শ্রোর্ণী মেঝের পেশীগুলো ঊর্ধ্বাভিমুখী মনে হবে। তারপর পেশী শিথিল করে দিন। দেখবেন শ্রোণীপেশীগুল আবার আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে।
প্রস্রাব করার সময় দু-একবার প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করে দিন। সফল হলে বুঝলেন প্রাথমিক ধাপটা পার হতে পারছেন। (প্রস্রাব করার প্রবাহ বন্ধ করাটা বার বার বা অভ্যসে পরিনত করবেন না।) মূত্রথলি পরিপূর্ণ অবস্থায় বা প্রস্রাব করার সময় কেগেল ব্যায়াম করবেন না। এতে পেশী আরো শিথিল হয়ে যাবে বা প্রস্রাব করা অপূর্ণ থেকে যাবে যা মূত্রনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

এবার পূর্ণ পদ্ধতি। শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর অবস্থান নির্ণয় করা হয়ে গেলে বা বুঝতে পারার পর মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি করবেন। তারপর চেয়ারে বসে বা মেঝে/বিছানায় শুয়ে পড়বেন। পেলভিস মাসল সংকুচন করুন। ৫ সেকেণ্ড ধরে রাখুন। ৫ সেকেণ্ড পরে শিথিল করে দিন। এভাবে একটানা ৪/৫ বার করুন। এভাবে ধীরে ধীরে ৫ সেকেণ্ডের জায়গায় ১০ সেকেণ্ড করে করার চেষ্টা করুন।

শুধু শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য শুধু পেলভিস মাসলের উপরই মনোযোগ দেবেন। খেয়াল রাখবেন- পেটের পেশী, উরু, নিতম্বের পেশীতে যেন টান না পড়ে বা সেগুলো সংকুচিত না হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস ধরে বা বন্ধ রাখবেন না। স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস নেন, এই ব্যায়ামের সময়ও সেভাবে নেবেন।

ব্যায়ামটি ১০ বার পুনরাবৃত্তি করে ৩ টি সেট করবেন এবং দিনে ৩ বার করার চেষ্টা করবেন। এজন্য আলাদা সময়ের দরকার নাই। অন্যান্য কাজের ফাঁকেই এটা করতে পারেন। যেমন কম্পিউটারের কাজ করার সময় বা সোফায় বসে টিভি দেখার সময়, বিছানায় গড়াগড়ি দেয়ার সময়।

ব্যায়ামটি চেষ্টা করেও করতে না পারলে লজ্জিত হবার কিছু নাই। এখানে প্রশ্ন করতে পারেন বা আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

যদি একাগ্রতার সাথে সঠিক ভাবে কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন। আর ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হবে না। শারীরিক মিলনের সময় জননাঙ্গ মধ্যে ব্যথা কমে যাবে, বেশীক্ষণ মিলিত হতে পারবেন, মিলনে আগের চেয়ে বেশী সুখানুভূতি হবে। আরো অনেক সুবিধা পাবার জন্য এটা করা অব্যাহত রাখা উচিত।

0 coment�rios:

সমস্যা: আমার বয়স ২১। অবিবাহিত। আমার অনিয়মিত মাসিক সমস্যা। প্রায় দুই বছর ধরে দু-তিন মাস পর মাসিক হচ্ছে। আমি দুজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়ে...

নারীস্বাস্থ্য সমস্যা – অনিয়মিত মাসিক

সমস্যা: আমার বয়স ২১। অবিবাহিত। আমার অনিয়মিত মাসিক সমস্যা। প্রায় দুই বছর ধরে দু-তিন মাস পর মাসিক হচ্ছে। আমি দুজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েছি। প্রথম জন তিন মাস আয়রন জিফক্স খেতে বলেছিলেন এবং দুই মাস খাওয়ার পর মাসিক হয় এবং পরের মাসেও হয়, তাই আর ওষুধ খাইনি।
কিন্তু এর পর থেকে আবার সমস্যা হয়। দ্বিতীয়বার আরেকজন বিশেষজ্ঞকে দেখালে তিনি আমাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফ, রক্ত পরীক্ষা করিয়ে কোনো সমস্যা পাননি। তিনি আমাকে সাত দিন নরকুলেট খেতে বলেন। খাওয়ার পর মাসিক হয় এবং পরের মাস থেকে আবার সমস্যা দেখা দেয়। ওষুধ খেলে মাসিক হয়।
আপা, আমি এর স্থায়ী সমাধান চাই। আমার মাসিক হওয়ার আগে বা পরে কোনো ব্যথা বা অসুস্থতা অনুভব করি না। আগে মাসিক সাত দিন হতো, এখন চার দিন হয়। খুব বেশি রক্ত যায় না। কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছি না। আপনি সমাধান দিয়ে আমার মানসিক কষ্ট দূর করবেন আশা করি।

পরামর্শ: তোমার অনিয়মিত মাসিক হচ্ছে। এটা মেয়েদের সাধারণ সমস্যার একটি। চিঠিতে তোমার ওজন ও উচ্চতা লেখনি। অনিয়মিত মাসিকের সঙ্গে স্থূলতার একটা সম্পর্ক রয়েছে। আয়রন ট্যাবলেট মাসিক নিয়মিত করার ওষুধ নয়। ট্যাবলেট নরকুলেট খেলে শুধু ওই মাসেই তোমার উইথড্রল ব্লিডিং হবে, কিন্তু এটা কোনো স্থায়ী সমাধান দেবে না। তোমার রক্তের কী পরীক্ষা করিয়েছে তাও জানাওনি। রক্তে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। ওজন বেশি থাকলে ওজনও কমাতে হবে। হরমোন পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চিকিত্সা নিলে স্থায়ী সমাধান পাবে বলে আশা করি। তুমি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা হরমোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আবার যোগাযোগ করতে পারো।

0 coment�rios:

শারীরিক মিলন মিলন শুধু শারীরিক চাহিদাই মেটায় না৷ তা মহিলাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে৷ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সহবাসে তৃপ্তি লাভে নাকি মহিলারা নাকি ...

মহিলাদের সুস্থ জীবন দেয় সহবাস

শারীরিক মিলন মিলন শুধু শারীরিক চাহিদাই মেটায় না৷ তা মহিলাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে৷ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সহবাসে তৃপ্তি লাভে নাকি মহিলারা নাকি সুস্থ জীবন লাভ করতে পারেন৷ তাদের মধ্যে পজিটিভ এনার্জী আসে এবং জীবনী শক্তি বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় সেটাই প্রমানিত হয়েছে৷

মোনাস ইউনির্ভাসিটিতে এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল৷ গবেষকরা 265 জন মহিলাদের নিয়ে গবেষণা করেছিলেন৷ এদের প্রত্যেকেরই বয়স ছিল 26 থেকে 65 বছরের মধ্যে৷ এক্ষেত্রে গবেষকরা প্রমাণ করেছেন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সহবাসে মহিলারা যদি তৃপ্তি লাভ করেন তাহলে শারীরিভাবে তারা সুস্থ থাকতে পারবেন৷

শারীরিক কোন সমস্যা থাকবে না৷ অনেক সময় মাসে দু বার সহবাসের মধ্যে দিয়েই আপনি সেই তৃপ্তিটা লাভ করতে পারেন৷ আবার অনেক সময় খুব বেশী মাত্রায় সহবাস করলেও সেই সুখটা পাওয়া যায় না৷

0 coment�rios:

সমুদ্রের পাড়ে সূর্যালোকে বসে রোদে স্নান করতে কার না ভালো লাগে৷ সমুদ্রের শোভা দেখতে দেখতে রোদে গা ভেজানো একদিকে যেমন মনের কোনে সুখের অনুভূ...

রোদ পুরুষদের মিলনের সক্ষমতা বাড়ায়

সমুদ্রের পাড়ে সূর্যালোকে বসে রোদে স্নান করতে কার না ভালো লাগে৷ সমুদ্রের শোভা দেখতে দেখতে রোদে গা ভেজানো একদিকে যেমন মনের কোনে সুখের অনুভূতি এনে দেয় অপরদিকে তা পুরুষদের মিলনের উত্তেজনাও বাড়িয়ে দেয়৷

সম্প্রতি একটা গবেষনায় প্রমাণিত হয়েছে সূর্যালোক নাকি পুরুষদের শরীরে মিলনের আকাঙ্খাকে বাড়িয়ে দেয়৷ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা তাদের গবেষনাতে প্রমাণ করেছেন সূর্যালোক থেকে ভিটামিন ডি নিঃশেষিত হয়৷

ঐ ভিটামিন ডি পুরুষদের শরীরে শারীরিক মিলন্যুয়াল হরমন টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে৷ তাতে পুরুষদের মিলন উদ্দীপনা জাগে৷

0 coment�rios:

বেডরুমের রোমান্সকে আরও রোমাঞ্চকর করতে চান৷ একটা বই আপনাকে এই বিষয়ে ভীষণ ভাবেই সাহায্য করবে৷ লেখক বারবারা এবং এলান পিসের লেখা নতুন বইটাতে আপ...

গ্রেট শারীরিক মিলন লাইফের পাঁচটা মন্ত্র

বেডরুমের রোমান্সকে আরও রোমাঞ্চকর করতে চান৷ একটা বই আপনাকে এই বিষয়ে ভীষণ ভাবেই সাহায্য করবে৷ লেখক বারবারা এবং এলান পিসের লেখা নতুন বইটাতে আপনার শারীরিক মিলন লাইফকে মধুর করার সব রসদই মজুত রয়েছে৷ চলুন সেই বই অনুসারে পাঁচটা নিয়্ম জেনে নিই৷ যা মেনে চললে আপনার দাম্পত্য জীবনের সুখ আরও বাড়বে৷ এর সঙ্গে যারা বিয়ে করার বিষয়ে ভাবছেন তাদেরও বিবাহিত জীবন মধুর হবে৷

পুরুষদের মধ্যে হাস্যরস বোধ যথার্থ মাত্রায় থাকা উচিত৷ যদি বেডরুমে আপনি আপনার স্ত্রীকে প্রান খুলে হাসাতে পারেন তাহলে স্ত্রীর মন পেতে আপনার বেশী সময় লাগবে না৷

বেশীরভাগ স্মার্ট মহিলারাই প্রেমের ক্ষেত্রে ভুল মানুষটিকে বাঁছেন৷ অনেক গবেষণাতেই এই তথ্য প্রমানিত হয়েছে৷ হৃদয় গঠিত ব্যাপারে তারা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত নেন৷ তাই স্মার্ট মহিলাকে জীবন সঙ্গী হিসাবে বাঁছার আগে তাঁকে একবার যাচাই করে নেবেন৷

মহিলারা সে সব পুরুষদের সঙ্গেই দৈহিক সম্পর্ক গড়তে পছন্দ করেন যারা দেখতে ভীষণই স্মার্ট৷ যারা আকর্ষক পোশাক পড়েন৷ পোশাকের সঙ্গে মানান সই টাই পড়েন৷ হাতে এক্সপেনসিভ ঘড়ি পড়েন৷ সেই সব পুরুষদের প্রতিই মহিলারা বেশী আকৃষ্ট হন৷ তাই প্রেমিকাকে মনের কথাটা জানানোর আগে নিজেকে বদলে ফেলুন৷ আপনার প্রেম কখনও বিফল হবে না৷ অপরদিকে হাবিরাও স্ত্রীর মন পেতে স্মার্ট লুক আনার চেষ্টা করুন৷



লেখকের মতে যে সব পুরুষরা ঘরের কাজকর্ম করেন৷ মহিলারা তাদের বেশী শারীরিক মিলনী বলে মনে করেন৷ তাই বৌ এর মন পেতে মাঝে মধ্যে ঘরের কাজ করুন৷ এতে প্রেম বাড়বে৷

বেশীর ভাগ পুরুষই মনে করেন মহিলারা সব সময় কাজ করতে পারেন না৷ কিন্তু বর্তমান পুরুষদের এই চিন্তাধারা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহিলারা এগিয়ে চলেছেন৷ আজও অনেক পুরুষরা বিয়ের পরে স্ত্রী কে চাকুরী করার অনুমতি দেন না৷ এক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়৷ কিন্তু জীবনকে রঙীন করতে হলে পুরুষদের এই ধারনা বদলাতে হবে৷ নিজের মতের পাশাপাশি স্ত্রীর মতামতকেও প্রাধাণ্য দিতে হবে৷ লেখকের মতে এক্ষেত্রে মহিলাদের আরও দৃঢ় হতে হবে৷

0 coment�rios:

সমস্যাঃ আমার বয়স ২০ বছর। উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি। ওজন ৪৫ কেজি। প্রথম থেকেই আমার মাসিকের অনিয়ম চলে আসছে। প্রথম দু-তিন বছর অনিয়মিত মাসিক হত...

নারীস্বাস্থ্য সমস্যা

সমস্যাঃ আমার বয়স ২০ বছর। উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি। ওজন ৪৫ কেজি। প্রথম থেকেই আমার মাসিকের অনিয়ম চলে আসছে। প্রথম দু-তিন বছর অনিয়মিত মাসিক হতো। দু-তিন মাস বা চার মাস পর পর হতো। দু-আড়াই বছর ধরে সমস্যাটা বেশি দেখা দিয়েছে। এমনও হয়েছে যে ছয় মাসেও একবার মাসিক হয়নি। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়ে কিছু ওষুধ খেয়েছি। আলট্রাসনোগ্রামও করিয়েছি। রিপোর্ট স্বাভাবিক। ওষুধ খেলে শরীর খারাপ হয়, না-খেলে বন্ধ হয়ে যায় মাসিক। অন্য একজন চিকিৎসক বলেছেন, বিয়ে হলে নাকি ঠিক হয়ে যাবে। আমি শিগগিরই বিয়ে করব না। আমার অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি নেই। তাহলে মাসিক নিয়মিত হচ্ছে না কেন? অনেক দিন ধরে আমার ওজন বাড়ছে না। এসব নিয়ে খুবই চিন্তিত আছি।


পরামর্শঃ এ বয়সে মাসিক এত অনিয়মিত থাকাটা স্বাভাবিক নয়। আপনার সমস্যা নির্ণয়ের জন্য শুধু আলট্রাসনোগ্রাম নয়, সঙ্গে অন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যেমন-হরমোন পরীক্ষা, এফআর, রক্তে চিনির মাত্রা ইত্যাদিও পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষাগুলো করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী আপনার শরীরের ওজন কম। ওজন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন। এ জন্য পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দরকার। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

0 coment�rios:

ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ শারীরিক মিলন্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷ কিন্তু আ...

শারীরিক মিলনের নানা দিক

ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ শারীরিক মিলন্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷ কিন্তু আপনি জানেন কি শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে—

* ভালো ব্যায়াম : শারীরিক মিলনের সময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি 30 মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার 85 ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে 75 মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷

* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাত আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমদের শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷

* জীবন কাল বাড়ে : নিয়মিত শারীরিক মিলন্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে শারীরিক মিলন্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷

* ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় : বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷

* পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয় : যে সব মহিলাদের শারীরিক মিলন্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় মহিলাদের খুব বেশী ব্যাথা হযে থাকে৷ যাদের শারীরিক মিলন্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷

* মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি : মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷

* ভালোবাসা বাড়ে : শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারীতা ভীষণ জরূরী৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন৷

* কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে : শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷

* ভালো ঘুম হয় : শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন৷

* আত্মবিশ্বাস বাড়ে : শারীরিক মিনলের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতর কার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷

* ওজন কমে : শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয় তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷

* সৌন্দর্য্য বাড়ে : শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷

* ভালো ত্বক : শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷

* প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা কম হয় : নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷

* হাপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি : শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন রূপে দেখা হয়৷ এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়৷ আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷

* কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি : মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷

* বিস্বস্ত তা বাড়ে : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তার একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷

* রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় : শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়৷

0 coment�rios:

শারীরিক মিলন প্রত্যেক পুরুষ এবং নারীর কাছেই কাম্য৷ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শারীরিক সম্পর্ক৷ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেকাংশে তাদের শ...

মিলনের আকর্ষণ

শারীরিক মিলন প্রত্যেক পুরুষ এবং নারীর কাছেই কাম্য৷ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শারীরিক সম্পর্ক৷ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক অনেকাংশে তাদের শারীরিক সম্পর্কের ওপরেও নির্ভরশীল হয়৷

শারীরিক সম্পর্কের দিকে পুরুষ এবং নারীর দৃষ্টি ভঙ্গী, মানসিকতা বা চাওয়া কিন্তু এক নয়৷ দুজনের পরিতৃপ্তির পথও একরকম নয়৷ শারীরিক মিলন কালীন বিভিন্ন পর্যায় পুরুষ এবং নারীকে পৃথক ভাবে আকর্ষন করে৷

সাম্প্রতিক একটি গবেষনার দ্বারা জানা গেছে, শারীরিক মিলনের বিভিন্ন পর্যায় গুলির মধ্যে মহিলাদের কাছে সব থেকে বেশী আকর্ষণীয় হল মিলনের পরবর্তী সময়ে সঙ্গীর সান্নিধ্য৷ অর্থাত foreplay, intimate interaction পর্যায়ের থেকেও তাদের বেশী ভালো লাগে cuddle time অর্থাত মিলনের পরে সঙ্গীকে অনেক ক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখতে মহিলারা বেশী পছন্দ করেন৷
প্রায় বেশীর ভাগ মহিলারাই শারীরিক মিলনের পরে একান্ত ঘনিষ্ঠ মুহুর্ত চায়৷ সে চাহিদায় তারা পরিতৃপ্ত না হতে পারলে তাদের সঙ্গীর শারীরিক সংসর্গ তাদের খুশী করতে পারে না৷ এই অতৃপ্তির কারণে বেশীর ভাগ মহিলারই তার পুরুষ সঙ্গীটিকে selfish বলে মনে হয়৷ কারণ তাদের মতে শারীরিক মিলন পরিতৃপ্তির সঙ্গে মানসিক সান্নিধ্যও সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ আর মানসিক ছোঁয়া তারা অনুভব করেন মিলন পরবর্তী সান্নিধ্য র মাধ্যমে৷

0 coment�rios:

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালো। তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। এটা ...

হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় কী?

নিয়মিত হস্তমৈথুন শরীরের জন্য ভালো। তবে এটা খুব বেশি করলে এবং সেই অনুপাতে শরীরের যত্ন না নিলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্তি আসতে পারে। এটা যাতে নেশায় পরিনত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের কাছে এটা নেশার মত মনে হয়, এবং মনে প্রাণে কমিয়ে দিতে চাইছেন, তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করণীয় হতে পারে-

১. প্রথমেই মনে রাখতে হবে, হস্তমৈথুন বা স্বমেহন কোন পাপ বা অপরাধ নয়। এটা প্রাণীদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা করে ফেলে কোন প্রকার অনুশোচনা, পাপ, বা অপরাধবোধে ভুগবেন না। এমন হলে ব্যাপারটা সব সময় মাথার মধ্যে ঘুরবে এবং এ থেকে মুক্তি পেতে আবার এটা করে শরীর অবশ করে ফেলতে ইচ্ছে হবে।
মনে রাখবেন আপনি মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে। এটা করে ফেলার পর যদি মনে করেন ভুল হয়ে গেছে তো সেজন্য অনুশোচনা করবেন না। নিজেকে শাস্তি দেবেন না। বরং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন যাতে ভবিষ্যতে মন শক্ত রাখতে পারেন।



২. যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।
যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন।
কোন শারীরিক মিলন টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।
কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাত কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন শারীরিক পরিশ্রমের কাজে লাগে যান। যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকুন। আগে থেকে সারাদিনের শিডিউল ঠিক করে রাখুন। তারপর একের পর এক কাজ করে যান। হস্তমৈথুনের চিন্তা মাথায় আসবে না।
যারা একা একা সময় বেশি কাটায়, যাদের বন্ধুবান্ধব কম, দেখা গেছে তারাই ঘনঘন হস্তমৈথুন বেশি করে। একা একা না থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটান। একা একা টিভি না দেখে বন্ধুদের সাথে কিছু করুন। বন্ধুবান্ধব না থাকলে ঘরে বসে না থেকে পাবলিক প্লেসে বেশি সময় কাটান।



৩. বসে না থেকে সময়টা কাজে লাগান। জীবনকে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড দিয়ে ভরিয়ে তুলুন। সব সময় নতুন কিছু করার দিকে ঝোঁক থাকলে হস্তমৈথুনের ব্যাপারটা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। এই সাথে আরো সব বাজে জিনিসগুলোও জীবন থেকে হারিয়ে যাবে। নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন, বেঁচে থাকার নতুন মানে খুঁজে পাবেন।
সৃষ্টিশীল কাজে জড়িয়ে পড়ুন। লেখালেখি করতে পারেন, গান-বাজনা শিখতে পারেন, আঁকাআঁকি করতে পারেন, অথবা আপনি যা পারেন সেটাই করবেন।
নিয়মিত খেলাধূলা করুন। ব্যায়াম করুন। এতে মনে শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, জিমে গিয়া ব্যায়াম করতে পারেন। বিকেলে ফুটবল, ক্রিকেট- যা ইচ্ছে, কিছু একটা করুন।
স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন। ফলমূল-শাকসবজি বেশি খাবেন।
নতুন কোন শখ বা হবি নিয়ে মেতে উঠুন। বাগান করতে পারেন, নিজের রান্না নিজে করতে পারেন, আরো কত কিছু আছে করার। আপনি যা করতে বেশি পছন্দ করেন, সেটাই করবেন। কিছুদিন পর আবার আরো নতুন কিছু করতে বা জানতে চেষ্টা করুন।
অফুরন্ত সময় থাকলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুন। দেশ ও দশের জন্য সেবামূলক কাজে জড়িত হোন।

৪. ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে।
ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেন। ভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেন। ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেন। নিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন।

৫. অপরের সাহায্য নিতে ভুল করবেন না। রাতের বেলা হস্তমৈথুন করলে কারো সাথে রুম শেয়ার করুন। বা দরজা জানালা খোলা রেখে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। যখন দেখবেন যে সব চেষ্টা করেও একা একা সফল হতে পারছেন না, তখন বন্ধুবান্ধব, পরিবার, ডাক্তার- এদের সাহায্য নেয়া যায়। এখানে লজ্জার কিছু নাই।

###########

কিছু টিপস:
১. ঘুমে সমস্যা হলে তখন সুগার ফ্রি মিন্টস্‌ বা ক্যাণ্ডি চিবাতে পারেন। হালকা কিছু খেলেও তখন উপকার হয়। তবে ঘুমিয়ে পড়ার আগে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন।
২. কম্পিউটারে পর্ণ ব্লকিং সফটওয়ার ইনস্টল করে নিন। আজব একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন যাতে পরে ভুল যান। অথবা কোন বন্ধুকে দিয়ে পাসওয়ার্ড দিন। নিজে মনে রাখবেন না।
৩. কম্পিউটারে পর্ণ দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করলে কম্পিউটার লিভিং রুমে নিয়ে নিন যাতে অন্যরাও দেখতে পায় আপনি কী করছেন। এতে পর্ণ সাইটে ঢোকার ইচ্ছে কমে যাবে।
৪. হস্তমৈথুন একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে না। নিজেকে বোঝাবেন যে মাঝে মাঝে করবেন। ঘনঘন নয়।
৫. যারা বাজে বিষয় নিয়ে বা মেয়েদের নিয়ে বা পর্ণ মুভি বা চটি নিয়ে বেশি আলোচনা করে, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন।
৬. যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।
৭. সন্ধ্যার সময়ই ঘুমিয়ে পড়বেন না। কিছু করার না থাকলে মুভি দেখুন বা বই পড়ুন।
৮. ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।
৯. হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।
১০. শারীরিক মিলনুয়াল ব্যাপারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলবেন। এধরনের কোন শব্দ বা মন্তব্য শুনবেন না।
১১. ছোট ছোট টার্গেট সেট করুন। ধরুন প্রথম টার্গেট টানা দুইদিন হস্তমৈথুন করবেন না। দুইদিন না করে পারলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন।
১২. যখন তখন বিছানায় যাবেন না। কোথাও বসলে অন্যদের সঙ্গ নিয়ে বসুন।
১৩. বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।
১৪. যখনি মনে শারীরিক মিলনুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন।
১৫. মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।
১৬. হাতের কব্জিতে একটা রাবারের ব্যান্ড লাগিয়ে নেবেন। শারীরিক মিলনুয়াল চিন্তার উদয় হলে তুড়ি বাজাতে পারেন, পা দোলাতে পারেন- এতে কুচিন্তা দূর হয়ে যাবে।
১৭. যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
১৮. যে কোন উপায়ে পর্ণমুভি আর চটি এড়িয়ে চলুন।
১৯. বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।
২০. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
২১. নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করবেন, আপনার সাথে যারা আছে তাদের কথা ভাববেন।
২২. বাড়িতে বা রুমে কখনো একা থাকবেন না।
২৩. কোনদিন করেন নাই, এমন নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।
২৪. উপুর হয়ে ঘুমাবেন না।
২৫. বিকেলের পরে উত্তেজক ও গুরুপাক খাবার খাবেন না।
২৬. গার্লফ্রেণ্ড বা প্রেমিকাদের সাথে শুয়ে শুয়ে, নির্জনে বসে প্রেমালাম করবেন না।
২৭. ফোনশারীরিক মিলন এড়িয়ে চলুন।

[আরো টিপস মনে এলে এখানে পরে আপডেট করা হবে। লেখাটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।]

0 coment�rios:

প্রতিটি ঘরেই তাদের সদ্যোজাত নবজাতক কত আকাঙ্ক্ষিত ধন। বাড়িতে নতুন অতিথির আগমনে সবার মনে অনেক আনন্দ বিরাজ করে। এর মধ্যে আবার শঙ্কাও বিরাজ ক...

নবজাতক শিশুর যত্ন নিন এবং সুরক্ষিত রাখুন

প্রতিটি ঘরেই তাদের সদ্যোজাত নবজাতক কত আকাঙ্ক্ষিত ধন। বাড়িতে নতুন অতিথির আগমনে সবার মনে অনেক আনন্দ বিরাজ করে। এর মধ্যে আবার শঙ্কাও বিরাজ করে। নবজাতকের সঠিক যত্ন আত্তি হচ্ছে তো? আমরা আজকে একজন শিশু বিশেশজ্ঞর সঙ্গে কথা বলে আপনাদের দিচ্ছি কিছু দিক নির্দেশনা।

জন্মের পরপর যা যা করনীয়ঃ
* সদ্যোজাত শিশুকে মায়ের দুধ খেতে দিন

* নবজাতকের গোসল  করান। অবশ্যই জন্মের ৩ দিন পর

* শিশুর নাভির যত্ন  নিন

* নবজাতকের চুল কাটুন

* তার চোখের যত্ন নিন , ত্বকের  যত্ন নিন।

* সময়মতো  সব টিকা দিন।

যে সব সমস্যা হতে পারেঃ
* শিশু জন্মের পর শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া

* জন্মের পর শিশুর না কাঁদা

* মাঝে মাঝে খিঁচুনি হওয়া

* শিশুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

* শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া

* শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া

* শরীর হলুদ রঙ ধারন করা

*নাভিতে অনেক দুর্গন্ধ বা পুঁজ জমা হয়ে থাকা

* অনবরত বমি করা

* স্বাভাবিকের চেয়ে শিশুর নড়াচড়া কম হওয়া

* শিশু অনেক দুর্বল, যেমন কাঁদতে কষ্ট হওয়া, কিছুক্ষণ পরপর নেতিয়ে পরা

শ্বাস না নিলে আপনার করনীয়ঃ
* পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে শিশুর সম্পূর্ণ শরীর খুব ভালো করে মুছুন।

* নাকে, মুখে, কানে কালচে সবুজ পায়খানা লেগে থাকলে আলতভাবে আঙুলে কাপড় পেঁচিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

* শিশুকে কাত করে ধরে পিঠের মেরুদণ্ড বরাবর নিচ থেকে ওপর দিকে বারবার হাতের তালুর নিচের অংশ দিয়ে ঘষুন।



* শিশুর শরীরের রং এবং শ্বাসপ্রশ্বাস এর দিকে লক্ষ করুন। যদি শিশুর ঠোঁট, জিহবা সহ সমগ্র মুখের রং গোলাপি হয় এবং নিয়মিত শ্বাস নেয় তাহলে শিশুকে বুকের দুধ দিন।

শ্বাস না নিলে যা কখনোই করবেন নাঃ
* পা ধরে মাথা নিচের দিকে দিয়ে উল্টো করে নবজাতককে ঝোলাবেন না

* তাকে শরীরের কোন জায়গায় আঘাত করবেন না

* শিশুর শরীরে ঠাণ্ডা পানির ছিটে দিবেন না

* কানে বা নাকে ফুঁ দিবেন না

* শিশুর বুকের খাঁচায় চাপ দিবেন না

* গর্ভফুলের জন্য অপেক্ষা করতে করতে নবজাতককে ফেলে রাখবেন না

* মধু বা চিনির পানি খাওয়াবেন নানবজাতক শিশুর গরমে যত্নঃ
কখনো কোন অবস্থাতেই খুব বেশী পরিমাণে পাউডার বা তেল আপনার শিশুর ত্বকে ব্যবহার করবেন না, যা  শিশুর কোমল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রয়োজনের চেয়ে বেশী পাউডার ব্যবহার করার ফলে শিশুর ত্বকের  লোমমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং শারীরিক প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে শিশুর ঘামাচি ও র‌্যাশ হতে পারে। অতিরিক্ত রোদে নবজাতক শিশুকে নিয়ে বের হবেন না কখনো। নবজাতকের সামনে হাঁচি-কাশি দিবেন না। শিশুকে ঠাণ্ডা ও আরামদায়ক পরিবেশে রাখবেন। শরীর ঘেমে গেলে বারবার শুকনো নরম কাপড় দিয়ে খুব আলতোভাবে গা মুছে দিন।শিশুকে অবশ্যই সুতি ও নরম আরামদায়ক পোশাক পড়াবেন। নবজাতক শিশুর  মাকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে দিন। এতে মায়ের বুকের দুধ থেকে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে।

নবজাতক শিশুর শীতে যত্নঃ
শিশুকে সুতি কাপড় পরিয়ে নরম কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। বেশী শীতে সোয়েটার ব্যবহার করুন। শিশুর ত্বকে বেবি অয়েল বা লোশন ব্যবহার করুন। দিনের বেলা ঘরের দরজা জানালা সব খুলে দিন যাতে করে  রোদ ও নির্মল বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে।

শিশুর জামা কাপড় ঘরের মধ্যে না শুকিয়ে অবশ্যই রোদে শুকাবেন। শিশুকে রাতে শোয়ার সময় ডায়াপার পরিয়ে শোয়ান। শিশুকে কখনো আলাদা দোলনায় রাখবেন না। তাকে বাবা মায়ের সাথে নিয়ে ঘুমাবেন।  এতে শিশু উষ্ণ থাকবে,  বাবা মায়ের সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়বে এবং মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে সুবিধা হবে। শিশুকে ঘরের বাইরে না নেওয়ার চেষ্টা করুন। রোদে দিতে হলে ঘরের জানালার পাশে শুইয়ে বা ঘরের বারান্দায় বিছানা পেতে রোদ লাগান। কাশি হলে,  শ্বাস টানতে শব্দ করলে, দুধ টেনে খেতে না পারলে,  শিশুর নিঃশ্বাসের সঙ্গে পাঁজর বেঁকে যেতে থাকলে অতিদ্রুত চিকিৎসকের পরামরশ নিন।

0 coment�rios:

প্রত্যেক মাতা পিতার গর্ব হচ্ছে তার সন্তান। প্রত্যেক মা বাবাই চান তার সন্তান পড়াশুনা করুক মানুষের মত মানুষ হোক। গরীব ধ...

আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন কৌশলে


প্রত্যেক মাতা পিতার গর্ব হচ্ছে তার সন্তান। প্রত্যেক মা বাবাই চান তার সন্তান পড়াশুনা করুক মানুষের মত মানুষ হোক। গরীব ধনী সবাই তার সন্তানকে নিয়ে গর্ব করতে চায়। আপনার সন্তানকে দেখে রাখুন। আপনার সন্তান সবসময় আপনার চোখের নাগালে থাকবে না। স্কুলে যাবে, খেলতে যাবে এটাই স্বাভাবিক। আপনিও ব্যাস্ত থাকবেন আপনার কাজে। যদি আপনার সন্তানের কোন দোষ পান তাহলে বসে থাকবেন না, দেখেও না দেখার ভান করবেন না। তাহলে আপনার প্রশ্রয় পেয়ে পেয়ে সে একদিন অনেক বড় অপরাধের সাথে জড়িয়ে পরতে পারে। সর্বদাই সন্তানকে শাসন করা যাবে না, তবে কিছু সময় তাকে শাসন করুন। অনেক মাতা-পিতাকে একটু বেশি খবরদারি করতে দেখা যায়, তাদের সন্তানকে অনেক বেশি সন্দেহ করে থাকে, এটি কিন্তু সঠিক উপায় নয়। চলুন জেনে নেই সন্তানের প্রতি আপনার ব্যাবহার কেমন হওয়া উচিত?
১। আপনার সন্তানকে বিশ্বাস করুন, তার কাজের উপর বিশ্বাস রাখুন, যদি আপনি আপনার সন্তানের উপর বিশ্বাস না রাখেন তাহলে আপনার সন্তান মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরতে পারে। আর যখন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরবে তখন এটি তাকে বড় কোন অপরাধের কাছে নিয়ে যাবে
২। আপনার সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুনতোমাকে দিয়ে এসব হবে না”, “তোমার দ্বারা এটি সম্ভব না”, “এই কাজ তুমি করতে পারবে নাএসব কথা বলে তার মনে আঘাত দেবেন না। তাহলে সে যেকোনো কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। আপনার উচিত তাঁকে উৎসাহ দেয়া। যে তুমি কর, তুমি পারবে, তুমি না পারলে কেউ পারবে না। তাহলে সে অনেক বেশি উৎসাহ পাবে, কাজের প্রতি মনোযোগ বারবে
৩। আপনার সন্তানকে অতিরিক্ত চাপে রাখবেন না ফাস্ট হয়েছে তুমি হতে পারো নি কেন? অমুক মেডিকেল চান্স পেয়েছে তুমি পাওনি কেন? এসব কি করতেছ? এসব ভালর চেয়ে খারাপ বয়ে আনবে। সর্বদাই তাঁকে চাপমুক্ত রাখুন
৪। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে খেয়াল রাখুন আপনার সন্তান কাদের কাদের সাথে মিশে খোজ নিন
৫। মাদককে না বলুন আপনার সন্তানকে না বলতে শেখান আপনি নিজে সচেতন হন তারপর আপনার সন্তানকে সচেতন করুন। মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো তার সামনে তুলে ধরুন
 জেনে নিন আপনার সন্তান কি হতে চায় কি করতে চায়। সে যা হতে চায় তাঁকে তাই হতে দিন, সে শিক্ষক হতে চাইলে তাঁকে শিক্ষক হতে দিন। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনোকিছু চাপিয়ে দেবেন না
৭। আপনার সন্তানকে ভয় দেখান থেকে বিরত থাকুন তাকে কোন প্রকার ভয় দেখাবেন না
৮। মাঝে মাঝে একটু একটু শাসন করুন সন্তানকে যেমন ভালবাসা যায় তেমনি শাসনও করা যায়। তাই করুন। মাত্রাতিরিক্ত শাসন থেকে বিরত থাকুন। কোন অপরাধ পেলে হালকা শাসন করুন তাকে ভালভাবে বুঝান। আবার মাত্রাতিরিক্ত আদরে রাখবেন না। বেশি আদর পেলে বাদর হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে
৯। আপনি আপনার সন্তানের বেয়াদবিকে প্রশ্রয় দেবেন না তাকে ধরিয়ে দিন যে এটি ভাল না। বুঝিয়ে বলুন
১০। দুই সন্তান যদি থাকে উভয়কে সমান নজরে রাখুন একচোখা হবেন না। একজনের সাথে অপরজনের তুলনা করবেন না। তাদেরকে নিজের মত করে চলতে দিন। তাদেরকে কোনকিছুতে কম বেশি করবেন না। উভয়কে সমান আদর করুন। এতে করে তাদের মন চাঙ্গা থাকবে
লেখাটি ভাল লাগলে আপনার পরিচিত বা আপন মানুষদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু। আপনার শেয়ারে কোন না কোন পরিবার উপকৃত হতে পারে। ……ধন্যবাদ সবাইকে।।

0 coment�rios:

Pages (14)1234567 »