প্রকৃতির এক অনবদ্য সৃষ্টি হচ্ছে জাফরান। অনেকে যদিও একে মশলা বা রঙ হিসেবে চেনেন, কিন্তু বাস্তবে জাফরান হচ্ছে ফুলের পরাগ রেনু। জাফরানের কোন গুঁড়ো হয় না। ভালো মানের জাফরানে মিষ্টি সুগন্ধ থাকে, দানাগুলো হয় সরু ও লম্বা লম্বা। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে জাফরান বহুল ব্যবহৃত হলেও সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যরক্ষাতেও এটি সমান কার্যকরী। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস জাফরান দুধ পান করলে তা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চমৎকার ঘুম আনতেও সহায়তা করে থাকে। নিদ্রাহীনতা ও ঠাণ্ডা-কাশির সময়ে দারুণ সহায়ক হতে পারে এক গ্লাস উষ্ণ জাফরান দুধ।
জাফরানে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন, ভিটামিন সি সহ প্রায় ১৫০টি উপাদান যা সহজেই শরীরের উপকারে আসে। এই দারুণ জাফরান দুধের সাথে মেশানো হলে তা হজমশক্তিকে উন্নত করে, ত্বকের রঙ ফর্সা করে, ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করে, চুলকে করে তোলে ঝলমলে, ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে। তবে হ্যাঁ, জাফরান কেবল খেলে বা পান করলেই হবে না, সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জাফরান পান করার আছে কিছু বিশেষ নিয়ম। এই নিয়ম মেনে পান করলে আপনি পাবেন জাফরানের সবটুকু উপকারিতা।
চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।
যা লাগবে
গরুর দুধ ১ কাপ (গুঁড়ো দুধ নয়)
জাফরান দানা ১ চিমটি (আসল ইরানি জাফরান)
১ চামচ কিসমিস বাটা বা আস্ত কিসমিস (না দিলেও হবে)
১ চা চামচ অরগানিক মধু
প্রনালি
চুলায় আগে থেকে ফুটিয়ে রাখা দুধ দিন। বেশি ঘন দুধ নেবেন না।
দুধের মাঝে জাফরান দিয়ে দিন। ২ মিনিট ফুটিয়ে চুলো বন্ধ করে দিন।
এর মাসে কিসমিস বাটা বা আস্ত কিসমিস দিয়ে দিন। কিসমিস মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্য খুব ভালো।
কিসমিস দিয়ে চুলোর ওপরেই দুধে ঢাকনা দিয়ে রাখুন ৫ মিনিট।
কুসুম কুসুম গরম হলে কাঁচের বা সিরামকের কাপে ঢেলে নিন। মধু মিশিয়ে চায়ের মত পান করুন।
টিপস
জাফরান দেখে শুনে ক্রয় করুন। অল্প দাম খুঁজতে গিয়ে ভেজাল কিনবেন না।
দুধ ঠাণ্ডা হবার আগেই পান করুন।
প্রচুর পানি পান করুন।
ডায়াবেটিসের রোগী হলে কিসমিস ও মধু বাদ দিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে লবণ বা এমন কিছু যোগ করবেন না।
0 coment�rios: