Home Top Ad

বর্তমান বিশ্বে পারিবারিক স্বাধীনতার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এই আবিষ্কার নারী জাতিকে তার স্বকীয়তা ও অধিকার আদায়ের ...

নতুন বিয়ে করেছেন ? জেনে নিন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

বর্তমান বিশ্বে পারিবারিক স্বাধীনতার এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। এই আবিষ্কার নারী জাতিকে তার স্বকীয়তা ও অধিকার আদায়ের ব্যপারেও ব্যপক সাহায্য করেছে। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের পরিবারকে সুন্দর ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু এর আছে নানান পদ্ধতি। যারা নতুন বিয়ে করেছেন, অনেকেই বুঝতে পারেননা কোন পদ্ধতি গ্রহন করবেন। আজকে এই পদ্ধতিগুলো আমরা আলোচনা করবো। আপনি দেখে নিতে পারেন কোনটি আপনার জন্য সুবিধাজনক।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রকারভেদ
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গুলোকে প্রধানত: দুইভাগে ভাগ করা যায়।
যথা:
ক) সনাতন পদ্ধতি খ) আধুনিক পদ্ধতি।

ক) সনাতন পদ্ধতিঃ
যে পদ্ধতি পরিবারের সদস্য সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ঐতিহ্যগতভাবে সমাজে প্রচলিত আছে সেগুলোকে সনাতন পদ্ধতি বলে। যেমন
১) প্রত্যাহার বা আযলঃ স্বামীর বীর্য বাইরে ফেলা
২) বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো
৩) নিরাপদকাল মেনে চলা
৪) নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকা বা আত্মসংযম।

খ) আধুনিক পদ্ধতিঃ
আধুনিক পদ্ধতিকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:
১) নন-ক্লিনিক্যাল এবং
২) ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি।

1) নন-ক্লিনিক্যাল: যে পদ্ধতিগুলো অন্যের সাহায্য ছাড়া নারী-পুরুষ নিজেই ব্যবহার করতে পারে সেগুলোকে নন-ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি বলে। যেমনঃ
• খাবার বড়ি
• কনডম

2) ক্লিনিক্যাল: যে পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের জন্য নারী-পুরষকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারীর সাহায্য নিতে হয় সেগুলোকে ক্লিনিক্যাল পদ্ধতি বলে। যেমন: অস্থায়ী পদ্ধতি এবং স্থায়ী পদ্ধতি।
অস্থায়ী পদ্ধতি
• ইনজেকশন
• আই.ইউ.ডি
• নরপ্ল্যান্ট
স্থায়ী পদ্ধতি
• পুরুষ বন্ধ্যাকরণ- ভ্যাসেকটমী
• নারী বন্ধ্যাকরণ- টিউবেকটমি বা লাইগেশন

খাবার বড়ির প্রকার, মাত্রা, কার্যপদ্ধতি এবং সুবিধা, অসুবিধা
খাবার বড়ির প্রকার ও মাত্রা
জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য বিভিন্ন প্রকারের খাবার বড়ি পাওয়া যায়। যেমন: নরকোয়েস্ট, ওভাষ্ট্যাট, ওভাকন, মারভেলন, সি-৫, সুখী (স্বল্পমাত্রার বড়ি)। প্রত্যেক প্রকার বড়িতে হরমোনের মাত্রার পার্থক্য থাকতে পারে।

কার্যপদ্ধতি
ডিম্বাশয়ের ডিম্বকে পরিপক্ক হতে ও বের হতে বাধা দেয়।

সুবিধা
• সাফল্যের হার বেশী।
• অনাকাংখিত গর্ভসঞ্চার খুবই কম হয়।
• অতিরিক্ত সতর্কতা ছাড়া যৌন সহবাস করা যায়।
• মাসিক নিয়মিত হয়।
• মাসিকের রক্তস্রাব কম হয়। মাসিকের ব্যাথা থাকলে তা কমে যায়।
• নিয়মিত বড়ি খাওয়ার ফলে অনেক মহিলার স্বাস্থ্য ভাল হয়।
• আয়রন বড়ির জন্য রক্তস্বল্পতা কম হয়।
• ডিম্বাশয় ও জরাযু ঝিল্লি¬তে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পি.আই.ডি (পেলভিসের সংক্রমণ ) কম হয়।
• বড়ি খাওয়া বন্ধ করলে গর্ভধারণ করা যায়।

অসুবিধা
• প্রতিদিন মনে করে খেতে হয়।
• যারা ধূমপান করে তাদের বেশী জটিলতা দেখা দেয়।
• টিউমার বা জন্ডিস থাকলে ব্যবহার করা যাবেনা। মাসিকের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
• ওজন বেড়ে যেতে পারে।
• মেজাজ খিটখিটে হয়।
• পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়ার পর গর্ভধারণে দেরী হতে পারে।
• এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা নাই।

কার্যকারীতা
সাফল্যের হার বেশী। অনাকাংখিত গর্ভসঞ্চার খুবই কম হয়।

কনডমের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা এবং কার্যকরীতা
কনডম রাবারের দ্বারা তৈরি চোঙ্গার মতো যার একদিক খোলা এবং একদিক বন্ধ বোঁটার মতো। এটি পুরুষের যৌনাঙ্গে পরতে হয়। বিভিন্ন নামে কনডম পাওয়া যায়। যেমন রাজা, সুলতান, প্যানথার, ম্যাজিষ্টিক, সেনসেশন।

কার্যপদ্ধতি
সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গে কনডম ব্যবহারের ফলে শুক্রকীট নারীর জরাযুতে প্রবেশ করতে পারে না । ফলে শুক্রকীট ডিম্বানুর সংস্পর্শে আসতে পারে না বলে নারী গর্ভবতী হয় না।

সুবিধা
• যে কোন পুরুষ ব্যবহার করতে পারে।
• কোন ডাক্তারের সহযোগীতা লাগে না।
• কনডম বেশ সস্তা এবং সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়।
• এইচআইভি/এইডস সহ নানা রকম যৌন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
• যৌন সহবাস দীর্ঘায়িত হয়।
• জন্ম নিয়ন্ত্রনে পুরুষকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।

অসুবিধা
• প্রত্যেক সহবাসে ব্যবহার করতে হয়।
• দু’জন সঙ্গীরই যথেষ্ট সহযোগিতা থাকা দরকার।

কার্যকারীতা
প্রতিবার সঠিক নিয়মে কনডম ব্যবহার করলে ৮৮% ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হয়। শুক্রকীটনাশক ফেনা বড়ির সাথে ব্যবহার করলে প্রায় ৯৯% ভাগ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে।

ইনজেকশনের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা ও কার্যকরীতা
ইনজেকশন ২ প্রকার-DMPA সাদা রং এর দ্রবীভূত জলীয় পদার্থ, ১ ডোজ ১ টি ভায়েলে থাকে।

কার্যপদ্ধতি
১.জরায়ুর মুখে শ্লেষ্মা তৈরী করে ফলে পুরুষের শুক্রকীট জরাযুতে ঢুকতে পারেনা।
২. ডিম্বাশয়ের ডিম্বকে পরিপক্ক হতে ও বের হতে বাধা দেয়।
৩. জরায়ুর ভিতরের গায়ে ঝিল্লী¬র পরিবর্তন করে, ফলে ডিম্ব জরায়ুতে বসতে পারে না।

সুবিধা
১.নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।
২.ব্যবহার বিধি সহজ (৩ মাসের জন্য)।
৩. রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দেখা যায় না।
৪. সহবাসের সাথে সম্পর্ক নাই।
৫.গোপনীয়তা রক্ষা করে নেয়া যায়।
৬. বন্ধ করলে গর্ভধারণ করা যায়।
৭. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী দিতে পারে।
৮. শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মা হলেও নেয়া যায়।

অসুবিধা
• অনেকের ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে ভয় থাকে।
• নিজে নেওয়া যায়না।

কার্যকরীতা
অত্যন্ত কার্যকরী প্রায় ১০০% ভাগ এবং নিরাপদ জন্মনিরোধক পদ্ধতি।

আই ইউ ডি বা কপার টির সুবিধা , অসুবিধা ও কার্যকরীতা
আই ইউ ডি (IUD Intra Uterine Device) জরায়ুর ভেতরে ব্যবহারের জন্য একটি জিনিস যা জন্মনিয়ন্ত্রণ করে। অনেক উন্নত ধরণের আই ইউ ডি পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। বর্তমানে কপার-টি সবচাইতে জনপ্রিয়।

সুবিধা
১.ব্যবহার করা সহজ।
২.প্রতিদিন মনে করতে হয় না।
৩. যৌন সঙ্গমে বাধা সৃষ্টি করে না।
৪. বুকের দুধ কমে না।
৫. যে কোন সময় খুলে ফেলা যায়।
৬. খুলে ফেলার পর গর্ভধারনের ক্ষমতা ফিরে আসে।
৭. কম খরচে বহুদিন জন্মনিরোধ করা যায়।

অসুবিধা
সুতা পরীক্ষা করতে হয়।

কার্যকারীতা
খুব বেশী কার্যকরী(৯৪-৯৮%) একটি সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী অস্থায়ী পদ্ধতি।

নরপ্ল্যান্টের কার্যপদ্ধতি, সুবিধা, অসুবিধা, কার্যকারীতা
বর্তমানে এক প্রকার ৬টি ক্যাপসূলে ১ ডোজ পাওয়া যায়।

কার্যপদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে ছয়টি ছোট ছোট নরম চিকন ক্যাপসূল (দেয়াশলাই-এর কাঠির চেয়ে ছোট) মহিলাদের হাতের কনুইয়ের উপরে ভিতরের দিকে চামড়ার নিচে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

সুবিধা
১.পদ্ধতিটি ৫ বছরের জন্য কার্যকর
২.পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম
৩.যে কোন সময় ডাক্তারের কাছে গিয়ে খোলা যায়

অসুবিধা
১.নিয়মিত মাসিক না হওয়া বা অনেকদিন বন্ধ থাক।
২. মাসিক বন্ধ হলে গর্ভসঞ্চার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
৩.মাসিকের সময় রক্তস্রাব বেশী হতে পারে।
৪.দুই মাসিকের মধ্যবর্তী সময়ে ফোঁটা ফোঁটা রক্তস্রাব হতে পারে।
৫.মাথা ব্যথা।
৬.ওজন বেড়ে যাওয়া।
৭.মন বিষন্ন থাকা।
৮.মুখে বা শরীরে মেছতার দাগ থাকলে বেড়ে যেতে পারে এবং মুখে লোম দেখা দিতে পারে।

কার্যকারীতা
এটি একটি সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি।

পুরুষ বন্ধ্যাকরণ বা ভ্যাসেকটমির সুবিধা, অসুবিধা ও কার্যকরীতা
ভ্যাসেকটমি বা পুরুষ বন্ধ্যাকরণ পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি। এতে শুক্রকীটবাহী নালী দুটির কিছু অংশ বেঁধে কেটে দেয়া হয়।

সুবিধা
১.অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ভয় না থাকায় সহবাসে আনন্দ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
২. তেমন কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই।
৩.আর কোন পদ্ধতি গ্রহণের ঝামেলা থাকে না।

অসুবিধা
যেহেতু স্থায়ী পদ্ধতি পরবর্তীতে সন্তান চাইলেও তা প্রায় অসম্ভব।

কার্যকরীতা
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। প্রায় ১০০% ভাগ কার্যকরী।

নারী বন্ধ্যাকরণ-টিউবেকটমি/লাইগেশন
খুব ছোট অপারেশনের মাধ্যমে মহিলারে প্রজনন ক্ষমতাকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করাই হচ্ছে ডিম্ববাহী নালী। জরায়ুর দুই ধারে দুটি ডিম্ববাহী নালী থাকে। সেই নালী দুটির কিছুটা অংশ বেঁধে কেটে দেয়াকে লাইগেশন বলে।

কার্যপদ্ধতি
ডিম্বাশয় থেকে ডিম্ব বের হয়ে শুক্রানুর সাথে মিলিত হতে পারে না। ফলে গর্ভসঞ্চার হয় না।

সুবিধা
অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ভয় না থাকায় সহবাসে আনন্দ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমন কোন পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। আর কোন পদ্ধতি গ্রহণের ঝামেলা থাকে না। গর্ভবতী হলে মৃত্যুঝুঁকি আছে এমন নারীর জন্য খুবই প্রযোজ্য। আর সন্তান না চাইলে এই অপারেশন খুবই ভাল

অসুবিধা
যেহেতু স্থায়ী পদ্ধতি পরবর্তীতে সন্তান ধারণ করতে চাইলেও তা সম্ভব নয়। অপারেশনের পর একরাত হাসপাতাল অথবা ক্লিনিকে থাকতে হয়।

কার্যকরীতা
স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। প্রায় ১০০% ভাগ কার্যকরী।

পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা প্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ
o পরিবার পরিকল্পনা কর্মী
o স্বাস্থ্য কর্মী
o স্যাটেলাইট ক্লিনিক
o ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র
o মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
o উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
o জেলা হাসপাতাল
o বেসরকারী ক্লিনিক

সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন.১.জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর. জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। ১. সনাতন পদ্ধতি ২. আধুনিক পদ্ধতি।

প্রশ্ন.২.খাবার বড়ির সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কি কি?
উত্তর.
সুবিধা:
• অতিরিক্ত সতর্কতা ছাড়া যৌন সহবাস করা যায়।
• মাসিক নিয়মিত হয়।
• মাসিকের রক্তস্রাব কম হয়। মাসিকের ব্যথা থাকলে তা কমে যায়।
• নিয়মিত বড়ি খাওয়ার ফলে অনেক মহিলার স্বাস্থ্য ভাল হয়।
• আয়রন বড়ির জন্য রক্তস্বল্পতা কম হয়।
• ডিম্বাশয় ও জরাযু ঝিল্লি¬তে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পি.আই.ডি(পেলভিসের সংক্রমণ ) কম হয়।
• বড়ি খাওয়া বন্ধ করলে গর্ভধারণ করা যায়।
অসুবিধা:
• প্রতিদিন মনে করে খেতে হয়।
• যারা ধুমপান করে তাদের বেশী জটিলতা দেখা দেয়।
• টিউমার বা জন্ডিস থাকলে ব্যবহার করা যাবেনা। মাসিকের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
• ওজন বেড়ে যেতে পারে।
• মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
• পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়ার পর গর্ভধারণে দেরী হতে পারে।
• এইচঅইভি/এইডস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা নাই।

প্রশ্ন.৩.জন্ম নিয়ন্ত্রনের স্থায়ী পদ্ধতি গুলো কি?
উত্তর. জন্ম নিয়ন্ত্রনের স্থায়ী পদ্ধতি গুলো হলো:
১. পুরুষ বন্ধ্যাকরণ- ভ্যাসেকটমী
২. নারী বন্ধ্যাকরণ- টিউবেকটমি বা লাইগেশন

প্রশ্ন.৪. কপার টির সুবিধা গুলো কি?
উত্তর.
১.ব্যবহার করা সহজ।
২.প্রতিদিন মনে করতে হয় না।
৩.যৌন সঙ্গমে বাধা সৃষ্টি করে না।
৪. বুকের দুধ কমে না।
৫. যে কোন সময় খুলে ফেলা যায়।
৬. খুলে ফেলার পর গর্ভধারনের ক্ষমতা ফিরে আসে।
৭.কম খরচে বহুদিন জন্মনিরোধ করা যায়।

0 coment�rios:

পিরিয়ড বা মাসিক – নারীদের শরীরে প্রকৃতির একটি চিরন্তন নিয়ম। নারী যে সন্তান ধারণে সক্ষম, সেটার প্রমাণই হচ্ছে তার নিয়মিত মাসিক। তবে এই সাধ...

পিরিয়ডের ব্যথায় আরাম পেতে যা করবেন

পিরিয়ড বা মাসিক – নারীদের শরীরে প্রকৃতির একটি চিরন্তন নিয়ম। নারী যে সন্তান ধারণে সক্ষম, সেটার প্রমাণই হচ্ছে তার নিয়মিত মাসিক। তবে এই সাধারণ নিয়মেও রয়েছে কিছু সমস্যাদায়ক ব্যাপার, আর তা হলো মাসিকের সময় শারীরিক ব্যথা। সেটা যেমন তলপেটে হতে পারে, তেমনি হতে পায়ে ঊরু, পশ্চাত্‍দেশ বা কোমরেও। কারো কারো মাথাতেও প্রচণ্ড ব্যথা করে। মোটকথা মাসিকের সময় ব্যথাটা যেন মাসিকের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার এই যন্ত্রণায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে। আর মাসিকের ব্যথা কমাতে পেইন কিলার মতো ওষুধ ঘনঘন খাওয়াও বিপজ্জনক। তাই জেনে নিন মাসিকের কারণে শারীরিক ব্যথা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

বিশেষ ভঙ্গিমায় শোয়া

আপনার শারীরিক ভঙ্গিমার ওপরেও অনেকখানি নির্ভর করে ব্যথার পরিমাণ। তলপেটে ব্যথা খুব বেশি হলে বাম কাত হয়ে হাঁটু ভাঁজ করে শুয়ে থাকুন। ব্যথা কম অনুভূত হবে। বিশ্রাম নেবার সময় চিত হয়ে শোন এবং পায়ের নিচে কমপক্ষে দুটো বালিশ দিয়ে উঁচু করে দিন। এতেও ব্যথা কম অনুভূত হবে।

মেথি

মেথি খুবই উপকারী একটি ভেষজ ওষুধ। সাধারণভাবে মেথি রান্নাঘরের মসলা হিসেবে পরিচিত। এই মসলার রয়েছে বহুবিধ গুণ। মাসিকের সময় পেটে ব্যথা, শরীর ব্যথা, এমনকি মাথা ব্যথা সারাতেও মেথির জুড়ি নেই। এক চা চামচ পরিমাণ মেথি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার মেথিটুকু চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই অসহনীয় ব্যথা অনেকখানি কমে যাবে।

গরম পানির সেঁক

গরম পানির সেঁকও মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এতে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। হট ওয়াটার ব্যাগে সহনীয় পর্যায়ে গরম পানি নিন। এবার সেঁক দিতে থাকুন তলপেট, পেট, কোমর ও ঊরুতে। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে। হট ওয়াটার ব্যাগ না থাকলে প্লাস্টিকের বোতলে গরম পানি ভরে সেঁক দিতে পারেন। অথবা ইস্ত্রী দিয়ে কাপড় গরম করেও সেঁক দিতে পারেন।

ভিটামিনযুক্ত খাবার

মাসিকের ব্যথা কমাতে ভিটামিন ই এবং বি বেশ উপকারী। যাদের মাসিকের সময় খুব বেশি ব্যথা হয় তারা ভিটামিন ই, বি১, বি৬, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, বাঁধাকপি, আম, মাছ, ওটমিল, কলা, ডিম, সবুজ শাকসবজি, গম, ডাল, বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা ইত্যাদি। এসব ভিটামিন পেশির সংকোচনজনিত মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।

পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতা আরেকটি ভেষজ ঔষধি, যা বিভিন্ন রোগের মহৌষধ। পুদিনা পাতাও মাসিকের কারণে হওয়া বিভিন্ন জায়গার ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। টাটকা পুদিনা পাতা আঙুল দিয়ে কচলে নাকের কাছে ধরুন, মাসিকের কারণে মাথা ধরা, মাথা ভার হয়ে থাকা মুহূর্তেই দূর হয়ে যাবে। পুদিনা পাতা ভালো করে ছেঁচে নিয়ে এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস ও এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে তলপেট, ঊরু, কোমর ও অন্যান্য ব্যথার জায়গায় আলতো মালিশ করুন। ব্যথা কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।

কিছু জিনিস বাদ দিন

যদি অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস থাকে তাহলে বাদ দিন। সেই সঙ্গে পরিহার করুন অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও ক্যাফেইনযুক্ত খাবার। এতে রক্ত জমাট বেঁধে যে ব্যথা হয়, তা রোধ হবে।

0 coment�rios:

স্তন ক্যানসারের মতোই জরায়ু ক্যানসারও অনেক কঠিন একটি অসুখ। পৃথিবীতে প্রচুর নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এই রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন...

জরায়ু ক্যানসারের ১০ টি প্রধান লক্ষণ

স্তন ক্যানসারের মতোই জরায়ু ক্যানসারও অনেক কঠিন একটি অসুখ। পৃথিবীতে প্রচুর নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এই রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে উত্তর ও পূর্ব ইউরোপে ২০১২ সালে প্রায় ৬৫,০০০ হাজার নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোতে ছয়টি ক্যানসার রোগের মধ্যে জরায়ু ক্যানসার সবচেয়ে বেশি আলোচিত কারণ প্রতি বছর পুরো পৃথিবীতে প্রায় ২,৫০,০০০ নারী জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা এই অসুখ হওয়ার প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা না করানোর ফলে তাদের বেঁচে থাকার হার ৫০% কমে যায়। আর যারা প্রথম থেকেই চিকিৎসা করান তাদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা থাকে ৯৫%।

তবে অনেকেই মনে করেন যে এই অসুখটি হয়তো প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে হয়ে থাকে কিন্তু এটি ভুল ধারণা। যেকোন বয়সেই নারীদের জরায়ু ক্যানসার হতে পারে। তবে বিশেষ করে ৫০ বছর বয়স্ক কিংবা এর থেকেও বেশি বয়সের নারীরা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বেশি। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে শিল্পোন্নত দেশের নারীরা বেশি জরায়ু ক্যানসারে অধিক আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এবং অন্য দিকে আফ্রিকান, আমারিকান ও এশিয়া প্রদেশের নারীদের এই ক্ষেত্রে জরায়ু ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম সাদা চামড়ার নারীদের থেকে।

জরায়ু ক্যানসারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়ে থাকে কারণ এই অসুখ দেখা দিলে অনেক নারীরাই এর কিছু কিছু লক্ষণ বুঝতে পারেন না। কিংবা ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিলেও গুরুত্ব দেন না। তাই সুস্থ থাকতে এই অসুখের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে রাখুন।

জরায়ু ক্যানসারের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ

১। নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা

২। গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা, পেটে অস্বস্তি লাগা, ইত্যাদি পেটের কোন সমস্যা খুব বেশি হলে তা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

৩। অন্য সময়ের থেকে পেটে অনেক পরিবর্তন দেখা দেওয়া।

৪। পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা।

৫। বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।

৬। ক্ষুধা কমে যাওয়া।

৭। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা ওজন অনেক বেশি কমে যাওয়া।

৮। যৌনমিলনের সময় ব্যথা পাওয়া।

৯। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।

১০। নারীদের মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং হওয়া।

0 coment�rios:

বিয়ের পর বা আগে অনেকেই সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলনে মিলত হন৷যৌন মিলন যে শুধু যৌন তৃপ্তি পাবার জন্য তা কিন্তু না । অধিকাংশই জানেন না যৌন মিলনের...

যৌন মিলনের স্বাস্থ্যগত উপকার

বিয়ের পর বা আগে অনেকেই সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন মিলনে মিলত হন৷যৌন মিলন যে শুধু যৌন তৃপ্তি পাবার জন্য তা কিন্তু না । অধিকাংশই জানেন না যৌন মিলনের ফলে কী কী উপকার হয়ে থাকে৷ আসুন জেনে নিই যৌন মিলনের স্বাস্থ্যগত উপকার ।
ভালো ব্যায়াম :

স্বামী-স্ত্রীর সহবাসে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়৷ তার ফলে যৌন মিলন একপ্রকার ব্যায়ামের কাজ করে৷পাশাপাশি শারীরিক মিলনের ফলে শরীর থেকে প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয় বলে গবেষকরা জানিয়েছে৷গবেষকরা জানিয়েছে, এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে।
ওজন কমে :

যৌন মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয়, তার ফলে ব্যক্তির ওজন কমে। নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা হ্রাস পায়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়। অনেকে লক্ষ টাকা ব্যয় করেন ওজন কমানোর জন্য৷ এ ক্ষেত্রে তারা উপকার পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে বা আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে শারীরিক মিলন৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে৷
ব্যাথা থেকে মুক্তি :

গনেষণায় দেখা গিয়েছে, যৌন মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান।
ভালো ঘুম হয়:

শারীরিক মিলনের শরীর থেকে অক্সিটসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে উপকার পাবেন।
কর্ম ক্ষমতা বাড়ে :

শারীরিক মিলনের সময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে হরমোন নিঃসরণ হয়৷ যার ফলে দু’জনেরই কার্য ক্ষমতা বাড়ে৷পাশাপাশি নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে যৌবন বাড়ে বলেই মত গবেষকদের৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে। সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়। এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সৌন্দর্য্য বাড়ে:

শারীরিক মিলনের হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। শারীরিক মিলন কালে নারীদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক উজ্জ্বল আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে।

0 coment�rios:

প্রথমবার যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই কিছু আশা প্রত্যাশা থাকে। প্রেমিকা-প্রেমিকা হোক বা স্বামী-স্ত্রী৷ কোন সম্পর্কই এই প্রত্য...

প্রথম মিলনে কী কী প্রত্যাশা?

প্রথমবার যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই কিছু আশা প্রত্যাশা থাকে। প্রেমিকা-প্রেমিকা হোক বা স্বামী-স্ত্রী৷ কোন সম্পর্কই এই প্রত্যাশার বাইরে নয়। তবে হ্যাঁ, নারী ও পুরুষ যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন অস্তিত্ব, তাই তাঁদের চাওয়া-পাওয়াগুলিও হয় একেবারেই ভিন্ন।

প্রেমিকা বা স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার যৌন মিলনের ক্ষেত্রে পুরুষের অবশ্যই প্রত্যাশা থাকে কিছু ব্যাপার নিয়ে। তা কী কী? জেনে নিন বিস্তারিত।

১) সমস্ত পুরুষই আশা করেন যে তার স্ত্রী বা প্রেমিকা ভার্জিন হবেন। সঙ্গিনীর জীবনের প্রথম পুরুষ হবার বাসনা আমাদের সমাজে প্রতিটি ছেলের মাঝেই আছে।

২) প্রথম যৌন মিলনে প্রত্যেক পুরুষই একজন লজ্জাবনত নারীকেই মনে মনে প্রত্যাশা করেন৷ খুব বেশি চটপটে নারীকে নয়। সঙ্গিনী একটু লজ্জা পাবেন, একটু বাধা দেবেন। এই ব্যাপারগুলি পুরুষকে অনেক বেশি আকর্ষণ করে।

৩) এমন আচরণ প্রত্যাশা করেন, যাতে মনে হয় নারীটি যৌন কাজে অপটু। এতে পুরুষটি আনন্দিত হন এই ভেবে যে সঙ্গিনীর অভিজ্ঞতা কম। ফলে অনেক সহজবোধ করেন। পুরুষ নিজে নারীকে নানান বিষয় শেখাতে পছন্দ করেন।

৪) তারা প্রত্যাশা করেন সঙ্গিনী সুন্দর করে সজ্জিত হয়ে নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করবে। প্রত্যেকেই এদিন সঙ্গিনীকে অপ্সরা রূপে দেখতে চান।

৫) এটা প্রত্যাশা করেন যে সঙ্গিনী যৌন মিলনে খুবই সন্তুষ্ট হবেন ও পুরুষের প্রশংসা করবেন।

৬) পুরুষেরা চান প্রথম মিলনে সঙ্গিনীর সামনে সবার সেরা হয়ে উঠতে। আর নারীর কাছ থেকে সেটার প্রকাশ আশা করেন সেটা। নারী নিজের সুখের অনুভূতি আচরে প্রকাশ করুক, এটা মনে মনে প্রত্যাশা করেন পুরুষ।

৭) সঙ্গিনীর শরীর পরিষ্কার-পরিছন্ন ও সুগন্ধীময় আশা করেন পুরুষেরা। একই সঙ্গে আর চান যে, সঙ্গিনী নিজের ভার তার ওপরে অর্পণ করুক।

0 coment�rios:

বক্ষযুগলকে সুন্দর রাখতে মহিলাদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে শরীরের এই অঙ্গটি। জেনে নিন ৫টি এ...

স্তন এর সৌন্দর্য হারাচ্ছেন যে কারণে

বক্ষযুগলকে সুন্দর রাখতে মহিলাদের চেষ্টার অন্ত নেই, অথচ প্রতিনিয়ত তাঁদেরই কিছু ভুলে ক্রমশ সৌন্দর্য হারাচ্ছে শরীরের এই অঙ্গটি। জেনে নিন ৫টি এমন ভুলের কথা, যেগুলোর ফলে আপনার স্তনে পড়ছে বয়সের ছাপ ও নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক আকৃতি ও সৌন্দর্য।

স্তন এর সৌন্দর্য হারাচ্ছেন যে কারণে
একটি বড় কারণ সঠিক অন্তর্বাস বাছাই করতে না পারা

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিসার্চের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা প্রতিনিয়ত অন্তর্বাস পড়ে থাকেন তাঁদের তুলনায় যেসব নারীরা খুব বেশি অন্তর্বাস পরিধান করেন নি, তাঁদের স্তনের আকৃতি অনেক বয়স পর্যন্তও সুন্দর থাকে। অপর আরেকটি রিসার্চে দেখা যায় যে ভুল মাপের অন্তর্বাস দ্রুত নষ্ট করে ফেলে আপনার স্তনের আকৃতি। অন্তর্বাস হতে হবে সঠিক মাপের। খুব বেশী টাইট বা খুব ঢিলেঢালা, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।

দেখে আসতে পারেন ঠিক মাপের ব্রা না পড়লে যা হতে পারেআপনি পর্যাপ্ত জল পান করেন না

পর্যাপ্ত জল পান না করলে ক্রমশ বয়সের ছাপ পড়ে আপনার ত্বকে এবং ত্বকের চামড়া ঝুলে যেতে থাকে সময়ের অনেক আগেই। এবং হ্যাঁ, শুধু মুখের নয়, সম্পূর্ণ শরীর তথা স্তনের ত্বকেও এর প্রভাব দেখা যায় অত্যন্ত বেশি।

দেখে আসতে পারেন খালি পেটে পানি পানের সুফল

অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচুন

সুতির পোশাক কিংবা পাতলা ফেব্রিক পরতে ভালোবাসেন? জেনে রাখুন, প্রখর সূর্যরশ্মি আপনার মুখের ত্বকের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ত্বকেরই ক্ষতি করে। পোশাকে ঢাকা থাকলেও সূর্যের রশ্মি আপনার ত্বকে উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। বিশেষ করে স্তনের নরম ত্বকে। সূর্যের প্রখর উত্তাপ বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনেক ত্বরান্বিত করে দেয়।

দেখে আসতে পারেন মেয়েদের দুধ বড় করার নিয়ম
আপনি ধূমপান করেন

ধূমপান মানবদেহের জন্য একটি অভিশাপের নাম এবং নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরুষের চাইতে অনেকটাই বেশী। ধূমপান আপনার ত্বকের ইলাসটিনকে নষ্ট করে ফেলে, যা ত্বকে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে। ফলে আপনাকে দেখায় অনেক বেশী বয়স্ক। ধূমপায়ী নারীদের স্তনের আকৃতি ও সৌন্দর্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে নেই

ওজন কমানো ভালো, তবে ওজন কমে যাওয়ার প্রভাব সবার আগে পড়ে আপনার স্তনের উপর। কেননা স্তন তৈরি মূলত ফ্যাট সেল দিয়ে, তাই ওজন কমলে প্রথমেই স্তনে এর প্রভাব দেখা যায়। আপনি যখন বেশি মোটা হন, ত্বকে স্ট্রেচ হতে হতে ইলাসটিসিটি হারিয়ে ফেলে। পরে পরবর্তীতে আপনি যখন স্লিম হয়ে যায়, তখন স্তন ঝুলে যায়। দ্রুত ওজন না কমিয়ে ধীরে সুস্থে কমাতে হবে এবং ওজন খুব দ্রুত ওঠানামা করতে দেয়া যাবে না। অল্প অল্প করে ওজন কমালে স্তনের আকৃতি অনেকটাই কম নষ্ট হবে।

0 coment�rios:

পেটের মেদ বাড়লে আমরা সবাই বেশ চিন্তায় পরে যাই। ভুঁড়ি থাকা সুখী মানুষের লক্ষণ- এই প্রবাদটির বর্তমানে তেমন কোনো মূল্যই নেই। একটু পেটের মেদ বা...

পেটের মেদ বাড়ছে যেই বাজে অভ্যাসগুলোর কারণে

পেটের মেদ বাড়লে আমরা সবাই বেশ চিন্তায় পরে যাই। ভুঁড়ি থাকা সুখী মানুষের লক্ষণ- এই প্রবাদটির বর্তমানে তেমন কোনো মূল্যই নেই। একটু পেটের মেদ বাড়লে তা কমানো এবং ঢাকার জন্য আমরা সবাই উঠে পড়ে লাগি। পেটের মেদ নানা রোগের জন্ম দেয়। এছাড়াও একটু স্টাইলিশ মানুষের সাথে পেটের মেদটা ঠিক মানায় না।

সে যাই হোক, কিন্তু আমরা কি জানি আমাদেরই ভুলে প্রতিনিয়ত পেটে জমছে মেদ? হয়তো আপনি অনেক চেষ্টা করছেন পেটের মেদ কমানোর জন্য, কিন্তু কমছে না। তার কারণ আপনারই কিছু বাজে অভ্যাস। বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন তবে দেখে নিন আপনার কোন বাজে অভ্যাসগুলোর কারণে প্রতিদিন বাড়ছে পেটের মেদ।

সফট ড্রিংকস পান করা
গরম থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন সফট ড্রিংকস আমাদের অনেক সাহায্য করে। গরমের কারণে অনেকেই ইদানিং সফট ড্রিংকস পান করা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই সফট ড্রিংকস পান করার এই বাজে অভ্যাসটি আপনার পেটে জমাচ্ছে মেদ খুব দ্রুত। এই সব সফট ড্রিংকসে রয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং প্রচুর চিনি যা পেটের মেদ জমতে সহায়তাকারী। তাই সফট ড্রিংকস পানের অভ্যাস বদলে ফলের রস, ফল এবং লেবুর সরবত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

একবারে অনেক কিছু খাওয়া
অনেকেই আছেন কাজের ব্যস্ততায় খাওয়ার সময় পান না। দেখা যায় সকালে না খেয়েই বের হয়ে যান। এবং একবারে দুপুরে খাবার খান। কিংবা বিকেলে কিছু না খেয়ে ক্ষুধা পেটে রাতে একবারে খান। এই কাজটি পেটে মেদ জমতে সাহায্য করে দ্রুত। আপি যখন কোনো বেলা খাবার বাদ দেন তখন আপনার পেটে ক্ষুধা থেকে যায় যা পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি খেতে বাধ্য করে আপনাকে। আপনি একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে অনেক সময় নেয় এবং ততক্ষণে পেটে মেদ জমা শুরু করে।

রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া
অনেকেই রাতে বেশ দেরি করে খাবার খেয়ে থাকেন। এবং খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আপানার এই বাজে অভ্যাসটিও পেটে মেদ জমার জন্য দায়ী। ভরা পেটে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলে আপনার হজমের সমস্যা হয়। এতে করে পেটে মেদ জমে। তাই রাতে দেরি করে খাবেন না। আর যদি নিতান্তই দেরি করে খেতে হয় তবে খাওয়ার পরে অন্তত ২/৩ ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।

রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়া
অনেকেই আছেন রেগে গেলে কিংবা বিষণ্ণতায় পড়লে অথবা কোন ব্যাপারে দুঃখ পেলে খাবার খান। কিছুটা খাবার খাওয়া অবশ্যই খারাপ কিছু নয়, যদি তা আপনার মুড ঠিক করতে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হলো এই ধরণের অনুভূতির সময় আমরা কতোটা খাচ্ছি তার হিসাব আমরা রাখতে পারি না এবং রাখার মতো মানসিকতায় থাকি না। তখন অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায় এবং সবই আজে বাজে খাবার যা বাড়ায় পেটের মেদ। তাই রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়ার অভ্যাসটি ত্যাগ করাই ভালো।

0 coment�rios:

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নারী পুরুষের মিলনের সময়ে পিঠ ব্যথা সম্পর্কিত একটি গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দাম্পত্য জ...

যৌন মিলনের সময় ব্যাক-পেইন বা পিঠ ব্যথায় কি করবেন ?

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া নারী পুরুষের মিলনের সময়ে পিঠ ব্যথা সম্পর্কিত একটি গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দাম্পত্য জীবনের মধুময় মিলনেও দেখা যায় নানা প্রকার জটিলতা। তারই একটি হলো পিঠ কিংবা কোমরে ব্যথা যাকে অনেকই ব্যাক-পেইন নামে চিনে থাকেন।

এই ব্যাক পেইন থেকে রক্ষা পেতে গবেষণা করে কিছু সমাধান দিয়েছেন কানাডার অন্টারিও’র ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে সেই সমাধানগুলো উপস্থাপন করছে বাংলানিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা ১০ দম্পতির শারীরিক মিলনের পাঁচটি নিয়মিত আসনে মেরুদণ্ডের কর্যক্রম লক্ষ্য করেন। গবেষকরা সংসর্গের সময় ব্যথা অনুভব করলে মেরুদণ্ড দিয়ে ধাক্কা না দিয়ে ‘হিপ-হিংগিং’ গতি ব্যবহার করা উচিত বলে চিহ্নিত করেন।

এছাড়া, যৌন মিলনের সময় গমন পথ অনুসরণ করে অবলোহিত এবং তড়িচ্চুম্বকীয় গতি পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত বলেও জানান গবেষকরা। গবেষকরা সংসর্গের সময় পিঠের ব্যথা এড়াতে গোপনাঙ্গের অবস্থান ও চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত বলে পরামর্শ দেন।

গবেষণায় দেখা যায়, সংসর্গে পুরুষরা প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব করেন। এতে তাদের পেট, নিতম্ব এবং পেছনের পেশি ছাড়া সমস্ত অংশ সক্রিয় থাকে। গবেষক দলের সদস্য ন্যাটালি সিডোর্কিয়েজ বলেন, মিলনের সময় গোপনাঙ্গের অবস্থান এক ধরনের ব্যাক-পেইন বা পিঠ ব্যথার উপসর্গ ঘটায়। এক্ষেত্রে নানা রকমের অবস্থান নিয়ে মিলন করা যেতে পারে।

0 coment�rios:

নখগুলোকে সুন্দর দেখাবার জন্যই তো আমরা নেইলপলিশ ব্যবহার করি, তাই না? কিন্তু আপনার প্রাকৃতিক নখটাই যদি দেখতে লাগে ঝকঝকে সাদা, ও আকর্ষণীয়, তাহ...

সুন্দর নজরকাড়া নখ পাওয়ার ১০ টি টিপস্‌

নখগুলোকে সুন্দর দেখাবার জন্যই তো আমরা নেইলপলিশ ব্যবহার করি, তাই না? কিন্তু আপনার প্রাকৃতিক নখটাই যদি দেখতে লাগে ঝকঝকে সাদা, ও আকর্ষণীয়, তাহলে আর নেইল পলিশের প্রয়োজন কী? হ্যাঁ, আপনি চাইলে নেইলপলিশ ছাড়াও আপনার নখগুলোকে রাখতে পারেন নজরকাড়া সুন্দর। জেনে নিন ১০ টি দারুণ টিপস।

১) ঠিক মত খাবেন। ডিম, দুধ , মাংস ইত্যাদি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবেন রুটিন করে। কেবল নখ নয়, ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।

২) নখকে সর্বদা রক্ষা করুন। বেশী শীতে গ্লাভস পড়ুন, বেশী উত্তাপের কাছে নখ নেবেন না, নখ দিয়ে কোন কিছু খোলার বা বের করার চেষ্টা করবেন না।

৩) যারা নিয়মিত রান্না বান্নার কাজ করেন, তাঁরা লেবুর টুকরো দিয়ে নখ ঘষবেন। এতে নখে হলদে দাগ হবে না।

৪) হ্যান্ড স্যানিটাইযার খুব বেশী ব্যবহার করবেন না, এটা নখ নষ্ট করে ফেলে।

৫) নখে খুব বেশী নেইলপলিশ বা রিমুভারের সংস্পর্শ লাগতে দেবেন না। এগুলো নখ নষ্ট করে ফেলে।

৬) প্রতিদিন নখে তেল ম্যাসাজ করুন। নারিকেল তেল থেকে শুরু করে বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল, যে কোন কিছুই কাজে আসবে।

৭) প্রতিদিন ছোট্ট একটি ব্রাশ দিয়ে ঘষে নখ পরিষ্কার রাখুন।

৮) মাসে একবার পেডিকিউর-মেনিকিউর করান পার্লারে।

৯) নখ বেশী ভঙ্গুর হলে চোখা শেপে কাটবেন না। এতে দ্রুত ভেঙে যাবে।

১০) নখ বেশী পাতলা হলে রোজ রাতে ঘুমাবার সময় ভ্যাসেলিন মেখে ঘুমাবেন।

0 coment�rios:

দাঁতের ব্যাথাকে আমরা অনেকে আমল দেই না। প্রয়োজনমতো দাঁতের যত্ন নেই না, ডেন্টিস্টের কাছে যাই না নিয়মিত। এর পর যখন দাঁতের ব্যথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত...

দাঁতের ব্যথা দ্রুত নিরাময়ের ৭টি উপায়

দাঁতের ব্যাথাকে আমরা অনেকে আমল দেই না। প্রয়োজনমতো দাঁতের যত্ন নেই না, ডেন্টিস্টের কাছে যাই না নিয়মিত। এর পর যখন দাঁতের ব্যথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখনই কেবল ডেন্টিস্টের কাছে দৌড়াই। কিন্তু দাঁত ব্যথার রয়েছে বড়ই বাজে একটা অভ্যাস। রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, ডেন্টিস্ট যখন চেম্বার বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছে তখনই দাঁত ব্যথা চরম আকৃতি ধারণ করে। তখন সকাল পর্যন্ত ব্যথা সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। আর এই শীতে তো দাঁতের ব্যথা বেড়েও যায় অনেক গুণে। অনেকে পেইনকিলার খেয়ে বসে থাকেন, যদিও পেইনকিলার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জানেন কি, আপনার রান্নাঘরে পড়ে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন একদম প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী কিছু পেইনকিলার। দাঁতে ব্যথা হলে ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে অবশ্যই, কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঘরোয়া ওষুধগুলো কাজ করে জাদুর মতো!

১) লবণ পানি
একেবারে সাধারণ এবং প্রচলিত এই প্রক্রিয়া আসলেই কার্যকর। এক গ্লাস গরম পানিতে বেশি করে লবণ গুলে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। দাঁতের ব্যথার কারন হিসেবে যদি কোনও জীবাণু থেকে থাকে তবে তা দূর হবে। এছাড়াও মাড়িতে রক্ত চলাচল ভালো করে দেয় এবং সাময়িকভাবে দাঁত ব্যাথা কমে আসে। তবে এই লবণ পানি খেয়ে ফেলবেন না যেন। কুলকুচি করে ফেলে দেবেন।

২) লবঙ্গ
যে দাঁতটা ব্যথা করছে, তার ওপরে বা পাশে (যেখানে ব্যাথা) একটা লবঙ্গ রেখে দিন। মাড়ি আর দাঁতের মাঝে বা দুই চোয়ালের মাঝে এই লবঙ্গ চেপে রাখতে পারেন যতক্ষণ না ব্যথা চলে যায়। লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে পারেন তবে দুই-এক ফোঁটার বেশি নয়। লবঙ্গ গুঁড়োর সাথে পানি বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও লাগাতে পারেন।

৩) আদা
এক টুকরো আদা কেটে নিন এবং যে দাঁতে ব্যথা করছে সে দাঁত দিয়ে চিবাতে থাকুন। যদি চিবাতে বেশি ব্যথা লাগে তাহলে অন্য পাশের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে যে রস এবং আদার পেস্ট তৈরি হবে সেটা ওই আক্রান্ত দাঁতের কাছে নিয়ে যান। জিহ্বা দিয়ে একটু চেপে রাখুন দাঁতের কাছে। কিছুক্ষণের মাঝেই ব্যথা চলে যাবে।

৪) রসুন
এক কোয়া রসুন থেঁতো করে নিয়ে দাঁতের ওপর লাগিয়ে রাখুন। রসুনের সাথে একটু লবণও মিশিয়ে লাগাতে পারেন।

৫) পেঁয়াজ
টাটকা এবং রসালো এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে নিয়ে সেটা আক্রান্ত দাঁতের ওপর চেপে রাখুন। পেয়াজের রসটা উপকারে আসবে।

৬) মরিচ
হ্যাঁ মরিচ। শুকনো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতের ওপরে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মরিচের ভেতরে থাকা উপাদান আপনার দাঁতের ওই ব্যাথাকে অবশ করে দেবে। গোলমরিচের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।

৭) বেকিং সোডা
একটা কটন বাড একটু পানিতে ভিজিয়ে নিন। এর মাথায় অনেকটা বেকিং সোডা লাগিয়ে নিয়ে আক্রান্ত দাঁতের ওপরে প্রয়োগ করুন। আরেক ভাবেও বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়। এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস গরম পানিতে গুলিয়ে সেটা দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।

মনে রাখবেনঃ-
আপনার দাঁত ব্যথা করছে তার মানে নিশ্চয়ই দাঁতের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে এবং অবশ্যই ডেন্টিস্টের সাহায্য ছাড়া সে সমস্যার থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। ঘরোয়া এই প্রতিকারগুলো আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য ব্যথা থেকে মুক্তি দিচ্ছে বলেই ডাক্তার দেখানোর কথাটা ভুলে যাবেন না যেন। বিশেষ করে যদি মাড়ি ফুলে যায় তবে বুঝতে হবে ইনফেকশন হয়ে গেছে এবং অতি সত্তর ডেন্টিস্টের সাথে দেখা করুন।

0 coment�rios:

শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে ঠোঁটের স্বাভাবিক কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের...

শীতেও কোমল ঠোঁট পেতে চাইলে

শীতে ঠোঁট ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা সাধারণ ব্যাপার। এর ফলে ঠোঁটের স্বাভাবিক কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। এসব সমস্যা সমাধানে বাজারে পাওয়া যায় নানা ধরনের লিপজেল, চ্যাপস্টিক, লিপগ্লস ইত্যাদি। তবে এসব ঠোঁটের জন্য কতটা উপকারী? কিভাবে শীতের রুক্ষ আবহাওয়াতেও ঠোঁটকে কোমল রাখা যায়। আসুন দেখে নিই এক নজরে।

ঠোটের বিশেষ যত্ন:
দুধ, মধু ও গোলাপের পাপড়ির পেস্ট তৈরি করে রাতে ঠোঁটে লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে লিপজেল লাগান। এই ম্যাসাজ এক দিন পর পর করা ভালো। এতে ঠোঁট নরম ও কোমল থাকবে। তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেওয়া যায়।

এ ছাড়া শীতে ঠোঁটের কোমলতা ধরে রাখতে যা করতে পারেন:

* গোসলের আগে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।

* শীতে ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী হচ্ছে গ্লিসারিন ব্যবহার।

* কিছুক্ষণ পর পর চ্যাপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। লিপজেলও ব্যবহার করতে পারেন।

* পার্টিতে লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই তার ওপর লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে।

* বাজারে কিছু কালার চ্যাপস্টিক পাওয়া যায়। পার্টিতে কালার চ্যাপস্টিক ব্যবহার করলেও তার সঙ্গে লিপগ্লস ব্যবহার করতে হবে। না হলে মেকআপের টানে এবং শীতের রুক্ষতায় ঠোঁট শুকিয়ে যাবে।

* শীতে ঠোঁটের কোমলতার জন্য চ্যাপস্টিক, লিপজেল, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন, লিপগ্লস ইত্যাদি যা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।

* কখনোই নিজে নিজে চামড়া ওঠানো যাবে না। এতে ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরা শুরু হবে এবং ফাটা দাগ বসে যেতে পারে। চ্যাপস্টিক, লিপজেল ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ঠোঁটের ফাটা চামড়া নরম হয়ে এমনিতেই উঠে যাবে।

* প্রতি রাতে বিট অথবা লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগালে কালো দাগ দূর হতে পারে।

* ঠোঁটে ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মাখন লাগানো যেতে পারে, যা ত্বক ফাটা দূর করে ও নরম রাখে।

শুষ্ক ঠোঁটের প্রতিকার

* ভালো মানের লিপস্টিক অনেক সময় ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে। এ ক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

* টুথপেস্টের কারণেও অনেক সময় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এ রকম হলে টুথপেস্ট বদলে ফেলুন। সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ঠোঁটের জন্য ভালো ।

* সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।

* সূর্যমুখীর তেল শুষ্ক ঠোঁটের জন্য ভালো। এটি দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না।

* শুষ্ক ঠোঁটে কখনোই ম্যাট লিপস্টিক লাগাবেন না।

* ঠোঁটের লিপস্টিক তুলতে তুলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

0 coment�rios:

বর্তমানে ‘চোখ জ্বলা-পোড়া’ একটা সাধারণ সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে যারা কম্পিউটার আর টিভির পর্দায় প্রতিনিয়ত চোখ রাখেন তাদের জন্য একটি ব...

টিভি/মনিটর থেকে চোখ জ্বালা-পোড়ায় করণীয়

বর্তমানে ‘চোখ জ্বলা-পোড়া’ একটা সাধারণ সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে যারা কম্পিউটার আর টিভির পর্দায় প্রতিনিয়ত চোখ রাখেন তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা। চোখ জ্বালার সঙ্গে থাকে অস্পষ্ট দেখা, লাল অথবা শুষ্ক চোখ, মাথাব্যথা এবং ঘাড় ও পিঠ ব্যথা। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর নাম কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বা সিভিএস, যা আপনাকে ধীরে ধীরে অসুস্থ করে তুলতে পারে। এই অসুস্থতা দূর করতে আপনাকে কিছু অভ্যাস আয়ত্ব করতে হবে।

• বেশি বেশি চোখের পাতা ফেলুন। প্রতি বিশ সেকেন্ড পর একবার। মাঝে মধ্যে তাকান ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে।

• মাঝে মাঝে কম্পিউটার স্ক্রিনকে ‘হাই ফাইভ’ দিন। যদি খুব সহজে পারেন তবে জেনে নিন আপনি খুব কাছে বসেছেন। এবার একটু সরে বসুন।

• রাত জেগে কম্পিউটারে কাজ করবেন না। যদি কাজ করেনও পাশে অন্য কিছু যেমন টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে নিতে পারেন।

• মোবাইল ফোনের স্ক্রিন চোখের খুব কাছে আনবেন না।

• কম্পিউটারে বসার কিছু নিয়ম মেনে চলুন।

• স্ক্রিনের আলো পারিপার্শ্বিক আলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখুন। যেন খুব বেশি উজ্জ্বল না হয়।

• পিঠ সোজা চেয়ারে বসুন।

• মনিটর অবশ্যই চোখের সমান্তরালে অথবা নিচে থাকতে হবে।

• হাত সোজা করলে যে দূরত্ব হয় অন্তত সে দূরত্ব হতে হবে চোখের সঙ্গে মনিটরের।

• দৃশ্যমান কোণ হতে হবে ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি।

• দিনে ৫-৭ বার চোখে পরিস্কার পানির ঝাপটা দিন।

0 coment�rios:

ভীষণ চুল পড়ছে, কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না? তাহলে জেনে রাখুন, এই চুল কিন্তু আপনার দোষেই পড়ছে! আমাদের প্রতিদিন যত চুল পড়ে, তাঁর একটা বড় অংশ ...

যেভাবে চুল আঁচড়ালে চট করেই চুল পড়া কমে যাবে

ভীষণ চুল পড়ছে, কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না? তাহলে জেনে রাখুন, এই চুল কিন্তু আপনার দোষেই পড়ছে! আমাদের প্রতিদিন যত চুল পড়ে, তাঁর একটা বড় অংশ পড়ে কেবলমাত্র ভুল উপায়ে চুল আঁচড়ানোর ফলে। না বুঝেই এমন সব ভুল আমরা করি, যাতে চুলের ক্ষতি হয় মারাত্মক ভাবে। যেমন ধরুন, গোসল করার পর নিশ্চয়ই চুল আঁচড়ান আপনি? চুল পড়ার পেছনে এটিও একটি বড় ভূমিকা রাখে! আজ জেনে নিন ৬টি এমন নিয়ম, যেগুলো মেনে চুল আঁচড়ালে চুল পড়া কমে যাবে ম্যাজিকের মত।

১) চুল আঁচড়াবার জন্য কখনোই ব্রাশ কিংবা চিকন দাঁতের চিরুনী ব্যবহার করবেন না। মোটা দাঁতের, মাঝে ফাঁক ফাঁক সাধারণ প্লাস্টিকের চিরুনী ব্যবহার করুন। এটাই আপনার চুলকে ভালো রাখবে।

২) ভাবছেন বেশী আঁচড়ালে চুল ভালো থাকবে? এই ভুলটিও করতে যাবেন না। বেশী আঁচড়ালে বরং চুলের ক্ষতি বাড়ে, দুর্বল চুল হলে পড়ার হারও। দিনে ২/৩ থেকে তিনবার চুল আঁচড়ালেই যথেষ্ট। আবার একেবারে চুল না আঁচড়েও থাকবেন না। চুল আঁচড়ালে মাথার তোকে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে চুলের গোঁড়া মজবুত হয়। তবে হ্যাঁ, আঁচড়াবেন পরিমিত পরিমাণে ও তাড়াহুড়ো না করে হাতে সময় নিয়ে।

৩) কখন চুল আঁচড়াবেন? রাতে ঘুমাবার আগে চুল আঁচড়ে বেঁধে ফেলুন। সকালে বের হবার আগেও আঁচড়ে নিন। এছাড়া শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই চুল আঁচড়াবেন। এতে চুলে জট হবে না এবং প্রচুর চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

৪) গোসল করার পর কোন পরিস্থিতিতেই চুলে আঁচড়াবেন না। ভেজা অবস্থায় চুল থাকে নরম ও ভঙ্গুর, দ্রুত ভেঙে যায় চিরুনির ছোঁয়া পেলে। বিশেষ করে সোজা চুলে এই সমস্যা আরও অনেক বেশী।

৫) গোসল করে বাইরে যাবেন, চুল আঁচড়ানো বা স্টাইল করা প্রয়োজন? তাড়াহুড়া না করে অপেক্ষা করুন। পুরোপুরি না হোক, অন্তত ৭৫ ভাগ শুকানোর পর তবেই চিরুনি লাগান চুলে।

৬) কখনোই চুল জোরে আঁচড়াবেন না। এবং কখনোই চিরুনি দিয়ে চুলে ব্যাক কোম্ব করবেন না বা চুল ফুলাবেন না।

0 coment�rios:

পার্লারে চুল স্ট্রেইট বা রিবন্ডিং করতে কেমিকল ব্যবহার করা হয়, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। তবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরেই তৈরি করা যায় ‘...

চুল সোজা করার ঘরোয়া পদ্ধতি

পার্লারে চুল স্ট্রেইট বা রিবন্ডিং করতে কেমিকল ব্যবহার করা হয়, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর।

তবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরেই তৈরি করা যায় ‘হেয়ার স্ট্রেইটনিং মাস্ক’। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চুল সোজা করার মাস্ক তৈরির পদ্ধতি এখানে দেওয়া হল।

এই মাস্ক তৈরিতে লাগবে:
এককাপ নারিকেলের দুধ। পাঁচ থেকে ছয় টেবিল-চামচ লেবুর রস। ‍দুই টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল। তিন টেবিল-চামচ কর্নস্টার্চ (কর্নফ্লাওয়ার)।

পদ্ধতি

নারিকেলের দুধ, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর অল্প অল্প করে কর্নস্টার্চ ওই মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। খুব ভালোভাবে মেশাতে হবে যেন কোনো দানা না থাকে।

এখন মিশ্রণটি অল্প আঁচে চুলায় দিয়ে গরম করতে হবে। এসময় প্রতিনিয়ত মিশ্রণটি নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ পর মিশ্রণটি ঘন ক্রিমের মতো হয়ে যাবে।

মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি বয়ামে সংরক্ষণ করুন।

গোছলের আগে মিশ্রণটি চুলে লাগান। কিছুটা শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

সপ্তাহে দুবার করে টানা দুমাস ব্যবহার করলেই চুল স্ট্রেইট হয়ে যাবে। তাছাড়া এই মাস্ক ব্যবহারে চুল ঝলমলে হয় আর সামলানও সুবিধা হয়।

0 coment�rios:

পা ফাটা সমস্যাটি অনেক সাধারণ একটি সমস্যা। পায়ের গোড়ালিতে ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ঝামেলায় পড়েন অনেকেই। এই সমস্যাটি খুব বেশি মারাত্মক মনে না হলেও...

শীতকালে পায়ের গোড়লী ফাটা এবং ঘরোয়া সমাধান

পা ফাটা সমস্যাটি অনেক সাধারণ একটি সমস্যা। পায়ের গোড়ালিতে ফেটে যাওয়ার সমস্যায় ঝামেলায় পড়েন অনেকেই। এই সমস্যাটি খুব বেশি মারাত্মক মনে না হলেও এটি খুব বেশি যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যাপায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ :

শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস
স্থূলতা
সমানে খালি পায়ে হাঁটা বা চটি অথবা গোড়ালি খোলা জুতো পরা
নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি
খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া
ময়েসচারাইজারের অভাব
পায়ের সঠিক যত্ন না নেয়া
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
যদি সঠিক ভাবে পা ফাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয় তবে এই ফাটা অনেক বেশি গভীর পর্যন্ত চলে যায় যার ফলে রক্তপাতও হতে পারে। তাই পা ফাটাকে অবহেলা না করে এটি প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি প্রতিরোধ করতে পারেন এই যন্ত্রণাদায়ক পা ফাটা রোগটি।
চালের গুঁড়ার ব্যবহার
একমুঠো চালের গুঁড়ো নিয়ে এতে ২/৩ টেবিল চামচ মধু, ২ তেবিল চামচ ভিনেগার, ১ তেবিল চামচ অলিভ অয়েল/ আলমণ্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুণ। প্রথমে ১০ মিনিট গরম পানিতে পা ভিজিয়ে নিয়ে এই পেস্টটি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ভালো করে স্ক্রাব করে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং শুষ্ক ভাবও চলে যাবে।
নিম পাতার ব্যবহার
১০/১৫ টি নিম পাতা নিয়ে ধুয়ে ভালো করে বেটে নিন। এতে ৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে নিন পুরু করে। ৩০ মিনিট রেখে গরম পানি দিয়ে পা ভালো করে ধুয়ে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দ্রুত পা ফাটা রোধ করবে।
 মধুর ব্যবহার
 মধুর ময়েসচারাইজিং এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান পা ফাটা ও শুষ্ক ত্বক দুটোই দূর করতে সাহায্য করে। অর্ধেক বালতি পানিতে ১ কাপ পরিমানে মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এই পানিতে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর একটি স্ক্রাবার দিয়ে আলতো করে পা ঘষে নিন।
গোলাপজল ও গ্লিসারিনের ব্যবহার
গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি৩, সি, ডি ও ই, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা পা ফাটা দূর করে। এবং গ্লিসারিন ত্বককে নরম ও কোমল করতে সহায়তা করে। সমান পরিমাণ গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালি ও পাতায় ম্যাসেজ করুণ।
কলার ব্যবহার
সব চাইতে সহজ পদ্ধতিটি হচ্ছে কলার ব্যবহার। একটি পাকা কলা নিয়ে তা ভালো করে পিষে নিন। পা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এই পিষে নেয়া কলাটি পায়ের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পড়ে গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
লেবুর ব্যবহার
লেবুর এসিডিক উপাদান পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে পা ফাটা রোধ করে। একটি লেবু কেটে নিয়ে সরাসরি তা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ঘষুন। এছাড়া হাল্কা গরম পানিতে লেবুর রস চিপে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রেখে ঝামা ইট দিয়ে ঘষে নিন পায়ের গোড়ালি। পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।
লবণ গরম পানির ব্যবহার
অর্ধেক বালতি গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এতে পা ডুবিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে পা ডুবান। এতে করে পায়ের ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এরপর পা ধুয়ে মুছে নিয়ে ফুটক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসেজ করে নিন। খুব দ্রুত পা ফাটা থেকে রেহাই পাবেন।

0 coment�rios:

পুরুষের যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে আর এট...

বীর্য ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি কারক “রসুন” – ব্যবহার পদ্ধতি – Garlic increases semen and sexual energy-Method of use

পুরুষের যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷ এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন বেশ কার্যকর৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ Semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।
ব্যবহার প্রণালী :-
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ী হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।
যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়।
সতর্কতা :-
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে। বিষয়গুলি সম্পর্কে সতর্ক থাকবেন।

0 coment�rios:

দাম্পত্য জীবন হলো প্রতিটা পুরুষ এবং নারীর জন্য বহুল প্রত্যাশিত এক জীবন। এই জীবন সুন্দর, স্বর্গীয় এবং পূর্ণতা লাভ করে স্বামী স্ত্রীর দৈহিক ম...

যৌন মিলনের সময় ছেলেদের করা মারাত্মক কিছু ভূল !

দাম্পত্য জীবন হলো প্রতিটা পুরুষ এবং নারীর জন্য বহুল প্রত্যাশিত এক জীবন। এই জীবন সুন্দর, স্বর্গীয় এবং পূর্ণতা লাভ করে স্বামী স্ত্রীর দৈহিক মিলনের মাধ্যমে। এর জন্য নারী পুরুষ উভয়েরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রয়েছে। কিন্তু যৌনতা সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় পুরুষরা শুরুতেই মারাত্মক কিছু ভূল করে থাকেন যা তাদের বয়ে বেড়াতে হয় বহু দিন যাবৎ।

পুরুষদের কিছু রাক্ষুসে মনোভাবের কারনে অনেক সময় দেখা যায় যে দাম্পত্য সম্পর্কটি নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যায়। এই সমস্যার মূল কারন হল, দৈহিক মিলন এবং মেয়েদের যৌন ইচ্ছা-আকাঙ্খা সম্পর্কে ছেলেদের স্বচ্ছ ধারনার অভাব। বিদেশি ভাষায় এসব বিষয়ে অনেক বই পত্র থাকলেও বাংলায় তেমন কিছু নেই বললেই চলে। তাই এই বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করা হলো :

স্ত্রীকে প্রথমে চুম্বন না করা :- দৈহিক মিলনের শুরুতেই স্ত্রীর আদরের সাথে চুম্বন না করে যৌনকাতর স্থানগুলোতে চলে গেলে তার ধারনা হতে পারে যে আপনি তাকে প্রকৃত ভালোবাসেন না, শুধুমাত্র দৈহিক চাহিদা মেটাতেই তার কাছে এসেছেন। গভীরভাবে ভালোবেসে স্ত্রীকে চুম্বন দেওয়া দুজনের জন্যই প্রকৃতপক্ষে এক অসাধরণ যৌনানন্দময় মিলনের সূচনা করে।

প্রথম থেকেই স্ত্রীর বক্ষ নিয়ে মেতে ওঠা :- বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় পুরুষরা স্ত্রীর বক্ষ নিয়ে মেতে ওঠে। প্রায় সব মেয়েই চূড়ান্ত উত্তেজিত হওয়ার আগে এরকম করলে বেশ ব্যথা পায়। তাই প্রথমে নিজের উত্তেজনাকে একটু দমিয়ে রেখে হলেও ধীরে ধীরে অগ্রসর হওয়া উচিত।

স্ত্রীর দেহের অন্যান্য অঙ্গের দিকে মনোযোগ না দেয়া :- দৈহিক মিলনের সময় পুরুষদের একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, মেয়েদের বক্ষসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোই তাদের একমাত্র যৌনকাতর স্থান নয়। পুরুষদের মূল যৌনকাতর অঙ্গ তাদের দেহের মাত্র কয়েকটি স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও মেয়েদের প্রায় পুরো দেহই স্পর্শকাতর। তাই তার দেহের এমন একটি স্থানও যেন না থাকে যেখানে স্বামীর স্পর্শ যায়নি।

একটু থেমে বিশ্রাম নেওয়া :- পুরুষরা যেমন চরম উত্তেজনার পথে সামান্য সময়ের জন্য থেমে গেলেও আবার সেই স্থান থেকেই শুরু করতে পারে, মেয়েদের পক্ষে এটা সম্ভব হয়না। তাদের উত্তেজিত হতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। চরম উত্তেজিত হবার পথে হঠাৎ থেমে গেলে তারা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়, ফলে আবার নতুন করে তাদের উত্তেজিত করে তুলতে হয়। তাই যত কষ্টই হোক স্ত্রীর চরম উত্তেজনা না আসা পর্যন্ত তাকে আদর করা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

0 coment�rios:

যাদের মুখে ব্রণ আছে, তাঁরা কোন রঙ ফর্সা করা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন না। এসব ক্রিমে ব্রণে দাগ তো কমেই না, উল্টো আরও ব্রণ বাড়ে। তাহলে উপায়? ...

ব্রণের দাগ দূর করে ২০ মিনিটে রঙ ফর্সা করুন খুব সহজে!

যাদের মুখে ব্রণ আছে, তাঁরা কোন রঙ ফর্সা করা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন না। এসব ক্রিমে ব্রণে দাগ তো কমেই না, উল্টো আরও ব্রণ বাড়ে। তাহলে উপায়? ঈদের সময়ে কি এমনও নিষ্প্রাণ চেহারা নিয়েই থাকতে হবে আপনাকে? তাহলে জেনে নিন ২০ মিনিটে ব্রণের দাগ সহ যে কোণ দাগ কমিয়ে রঙ ফর্সা করার একটি দারুণ কার্যকরী উপায়। যাদের মুখে ব্রণ নেই, তাঁরাও এটা ব্যবহার করতে পারবেন!

এই পদ্ধতিতে আমরা ব্যবহার করবো দুধ ও জায়ফল গুঁড়ো। অনেকের জায়ফলে এলার্জি থাকতে পারে, তাঁরা এটা ব্যবহার করবেন না। এই প্রক্রিয়াটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। এছাড়াও প্রথম ব্যবহারেই পার্থক্য নজরে পড়বে।

যা যা লাগবে
কাঁচা দুধ
তাজা জায়ফলের গুঁড়ো

প্রণালি
-তাজা জায়ফলকে মিহি গুঁড়ো করে নিন। মুখে ব্রণ থাকলে অর্ধেক জায়ফল নিন। ব্রণ না থাকলে একটি পুরোটাই নিতে পারেন।
-যতখানি গুঁড়ো হবে, ততখানি কাঁচা দুধ দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন।
-এবার এই পেস্ট মুখে মাখুন। শুধু মুখ কেন, শরীরের যে কোন অঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।
-২০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। পার্থক্য দেখতে পাবেন নিজেই!
-ভালো ফল পেতে সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করুন।

0 coment�rios:

গোপন অঙ্গে চুলকানির সমস্যা নারী জীবনের অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। বেশিরভাগ নারীই নজ্জায় এই বিষয়টি চেপে যান কিংবা মোটেও গুরুত্ব দেন না। তা...

গোপন অঙ্গে চুলকানি সমস্যার কারণ ও প্রতিকার

গোপন অঙ্গে চুলকানির সমস্যা নারী জীবনের অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি ঘটনা। বেশিরভাগ নারীই নজ্জায় এই বিষয়টি চেপে যান কিংবা মোটেও গুরুত্ব দেন না। তাঁরা জানেন না যে বেশিরভাগ নারীকেই জীবনে কখনো না কখনো এই সমস্যাটির মোকাবেলা করতেই হয় এবং এটি আসলে রোগের লক্ষণ! একটু খানি সচেতনতাই আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে অনেক গুলো শারীরিক সমস্যা থেকে। লজ্জা নয়, সচেততা জরুরী। চলুন, আজ জানি গোপন অঙ্গে চুলকানির কারণ, প্রতিকার ও আপনার করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

যেসব কারণে হতে পারে চুলকানি

সাধারণ যেসব কারণে গোপন অঙ্গে চুলকানি হতে পারে সেগুলো হচ্ছে অ্যালার্জি। টাইট কাপড় পরিধান, কোন সাবান বা পারফিউমের রিঅ্যাকশন, ঘামে ভেজা কাপড় দীর্ঘ সময় পরে থাকা ইত্যাদি। এছাড়াও ইস্ট ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়ার কারণেও হতে পারে এই চুলকানি।হতে পারে হরমোনের সমস্যা বা কোন ত্বকের রোগের কারণেও। মেনোপজের পরও গোপন অঙ্গে হতে পারে এমন চুলকানি। গোপন অঙ্গ যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরও যদি প্রতিদিন ঘনঘন চুলকানি হতে থাকে যা মোটেও স্বাভাবিক নয়, তাহলে আপনার উচিত এখনোই সচেতন হয়ে যাওয়া।

কখন যাবেন ডাক্তারের কাছে?

যদি গোপন অঙ্গে গন্ধ ও চুলকানির উপস্থিতি একত্রে টের পান, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাওয়াই উত্তম। পশ্চাৎ দেশের মত যোনিতেও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া থাকে। কিন্তু খারাপ ব্যাকটেরিয়ার গ্রোথ যখন বাড়তে থাকে তখন বাজে গন্ধ ও জ্বালাপোড়া হতে থাকে, এটা একটি রোগের লক্ষণ যাকে বলে bacterial vaginosis। অন্যদিকে ইস্ট ইনফেকশনের কারণে যদি চুলকানি হয়ে থাকে, তাহলে চুলকানির সাথে গন্ধ থাকতে পারে, থাকবে ঘন সাদা স্রাব। ইস্ট ইনফেকশন অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। যৌন সম্পর্ক, অ্যান্টি বায়োটিক খাওয়া, এমনই দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণেও হতে পারে এই সমস্যাটি। এগুলো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে তো যাবেনই, চুলকানির সাথে যদি প্রস্রাব ত্যাগেও কষ্ট হয় বা যৌন মিলনে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলেও দেরি না করে দ্রুত যাবেন ডাক্তারের কাছে।

এছাড়াও ঘরে যা করতে পারেন

১) সর্বদা বিশেষ অঙ্গটি পরিষ্কার রাখবেন। অন্যদের চাইতে একটু বেশিই যত্ন করবেন। প্রত্যেকবার টয়লেটের কাজ সারার পর উষ্ণ পানি ও ভালো সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে মুছে জায়গাটি শুকনো রাখবেন।

২) একদম ঢিলেঢালা সুতির অন্তর্বাস পরিধান করুন। দিনে দুবার অন্তর্বাস বদলে ফেলুন। এছাড়া ঘামে ভেজা অন্তর্বাস বেশি সময় ব্যবহার করবেন না।

৩) গোপন অঙ্গের জন্য একদম মাইলড কোন সাবান বা পরিশকারক ব্যবহার করুন। নিউট্রিজেনার লিকুইড সোপ বা গন্ধ বিহীন বিদেশী সাদা ডাভ সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এমন কিছু ব্যবহার করবেন যাতে সুগন্ধী নেই।

৪)মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারও কম খাবেন। ইস্ট ইকফেকশন হয়ে থাকলে এতে অনেকটাই কাজ দেবে।

৫) রাতের বেলা অন্তর্বাস পরে ঘুমাবেন না। বিশেষ করে গরমের দিনে।

৬)গোপন অঙ্গে পাউডার ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে বেবি পাউডার ব্যবহার করুন।

0 coment�rios:

প্রতিকার চাওয়ার আগে চলুন আপনার স্তনের উপর কিছু সাধারণ তথ্য জেনে নিন (Before getting into the remedies, you might like to know some common ...

গোলাপি নিপল পাবার উপায়

প্রতিকার চাওয়ার আগে চলুন আপনার স্তনের উপর কিছু সাধারণ তথ্য জেনে নিন (Before getting into the remedies, you might like to know some common facts on shades of nipples)

স্তনের বিভিন্ন রঙের হতে পারে যেমন গোলাপী, লাল, বাদামি, কালো, ইত্যাদি।
আমাদের স্তন জন্ম থেকে বার্ধক্য, গর্ভাবস্থাকে থেকে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত বিকশিত হয়।
প্রাথমিকভাবে আমাদের স্তন গোলাপী রঙের হয়। রঙ এবং আকার শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে বিভিন্নমুখী হতে শুরু করে।
অনেক কারণ আমাদের স্তনের রঙের পরিবর্তন ঘটায়। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ যেমন জিনগত অবস্থা, মাসিক, গর্ভাবস্থা, বয়ঃসন্ধি , বুকের দুধ খাওয়ানো, ওষুধ, চামড়া মর্দন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
স্তনের ত্বকের পার্শ্ববর্তী অংশের এউমেলানিন (Eumelanin) বা বাদামী রঙ্গক (brown pigment ) এবং ফেওমেলানিন (Pheomelanin) লাল রঙ্গক (red pigment) এই দুই কারণে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই রঙ্গকের বিস্তার আমাদের ব্রণ বা ফোড়ার চারপাশের গোলাকার অংশকে লালচে করে দেয়।
স্তনের রঙ চামড়ার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে, যেটা আবার বংশগ ত ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। ককেশীয় (Caucasians ) অঞ্চলে গোলাপী স্তণ, দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে (Southeast Asians) বাদামী স্তণ, আফ্রিকার (Africans) কালো স্তণ ইত্যাদি দেখা যায়।
পুরুষরা সাধারণত গাঢ় রঙের স্তন যুক্ত নারী বেশি পছন্দ করে। তাই আপনি এই সমাধান গুলি ব্যবহার শুরু করার আগে নিশ্চিত করুন যে এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গীর এর সম্মতি আছে কি না!
ইউ এস -এর সাদা চর্ম যুক্ত ১২% সুন্দরীরা বিশ্বাস করে তাদের স্তনের জন্য গাঢ় রং প্রয়োজন কারণ তারা স্বাভাবিক ভাবেই গোলাপি রং পায়। তারা বিশ্বাস করে গাঢ় রং অধিক যৌন আবেদন ময় হয়।
গোলাপী স্তনের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার (Home remedies for pink nipples)

উপরের সব তথ্য পড়ার পরও যদি আপনি এখনও আপনার সিদ্ধান্ত অটল থাকেন, তাহলে আমরা আপনার স্তনকে উজ্জ্বল এবং গোলাপি করার জন্যে কিছু সমাধান জানাতে পারি:

লেবুর নির্যাস (Lemon extract):লেবুর রস এই কারণে বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। লেবুর রস পিষে নিন এবং মধু ও দই যোগ করুন। এটি স্তনের উপর প্রয়োগ করুন এবং শুকিয়ে যাওয়ার জন্যে ৩০ মিনিট সময় দিন। তারপর এটাকে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন।
বাতাবি লেবু (Lime):লেবুর রস বের করে এতে মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণ আপনার স্তনের বোঁটায় প্রয়োগ করুন এবং এটি শুকিয়ে যেতে ৩০ মিনিট সময় দিন। এটাকে মুছে ফেলুন এবং সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন। লেবু আম্লিক হওয়ায় আপনার ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলতে সাহায্য সাহায্য করে এবং আপনার স্তনকে দেয় নবীন চেহারা।
ময়েসটনার (Moistener):লেবুর সাথে আপনি লাইটনিং ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার স্তনের উপর এরকম মলম যেমন ভেসলিন (Vaseline), লিপ বাম (lip balm ) বা শিয়া মাখন (shea butter )প্রতি রাতে লাগান, এটা আপনার স্তনকে সতেজ রাখে। পরের দিন সকালে স্নান করার সময়, এই অংশটি ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে ভুলবেন না। এটি বিশেষত ব্রণ প্রতিরোধ করে।
বাদাম (Almonds):বাদাম আপনার স্তনের রং পরিবর্তন করতে খুব সাহায্য করে। আপনি ব্লেন্ডারে দুধ ও বাদাম ভাল করে পিষে নিন এবং নির্দিষ্ট অংশে প্রয়োগ করুন। এছাড়াও আপনি বাজার থেকে বাদাম তেল কিনতে পারেন এবং নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এটাকে এক ঘন্টা রেখে দিন এবং তারপর এটা আপনি মুছে ফেলুন এবং পরিষ্কার করে ফেলুন। উল্লেখযোগ্য ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত এটি পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন।
স্তনের সুন্দর রং পাওয়ার পাশাপাশি, আমদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের স্তনের ভাল স্বাস্থ্যও। আপানর খাদ্য তালিকা, শরীর চর্চা, শরীরকে ব্যবহার করা ইত্যাদির প্রভাব আপনার স্তন এবং বোঁটায় পড়ে। চলুন আমারা এই জন্য কিছু টিপস জেনে নিই :

সঠিক খাদ্য ব্যবহার (Proper food consumption):অনেক অধ্যয়ন ও গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে কিছু স্তন ক্যান্সার (breast cancer) প্রতিরোধ করতে পারে। এই ধরণের ফল এবং শাকসবজিতে যা অ্যান্টি – অক্সিডেন্ট সমূহের (antioxidants ) উপস্থিতি থাকে এবং এগুলি গ্রহণ করলে আপনার জন্যে যত্নও নেয়। আপনার স্তনের যত্নের জন্যে তিসি দানা (flaxseeds), আখরোট (walnuts), মাছের তেলের ওমেগা -3 ফ্যাটি (omega-3 fatty acids in fish oil), ক্র্যানবেরি (cranberries), ডিম (eggs), অ্যাভোকাডো (avocados) ইত্যাদি আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করা আবশ্যক।
ব্যায়াম (Exercise):এক সপ্তাহের মধ্যে 4 ঘন্টার জন্য শরীর চর্চা করলে শরীরে ইস্ট্রজেন (estrogen ) এর মাত্রা কমে যায় এবং আপনি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম হয়।
ধূমপান বন্ধ করুন (Stop smoking):ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক রোগ নিয়ে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আছে স্তন ক্যান্সার (breast cancer) এবং গর্ভ ধারণে বাধা (pregnancy hindrances)। যে সব নারী ধূমপান করেন তাঁদের স্তন ক্যান্সার (breast cancer) এর সম্ভাবনা অ – ধূমপায়ী নারীদের থেকে ৩০% বেশি।
মদ্যপান বন্ধ করুন(Stop drinking):এটা ধূমপানের মত অত ক্ষতিকর নয়। অল্প পরিমাণে এলকোহল ঠিক কিন্তু অধিক পান শুধুমাত্র আপনার শরীরের অঙ্গের ক্ষতি করে তাই নয়, এটা আপনার পেশীকে শক্ত করে দেয়। গবেষণা থেকেও প্রমাণিত হয় অত্যধিক মদ্যপানের জন্যে স্তন ক্যান্সার (breast cancer) হতে পারে।
নিদ্রা কালীন দেহ ভঙ্গী (Sleeping posture):ভাল ভাবে স্তন বৃন্তের যত্নের জন্য আপনার শোওয়ার অবস্থান প্রতি সতর্ক হন। আপনার পেটের উপর শুলে আপনার স্তন এবং পাকস্থলীর উপর চাপ পড়ে এবং একে বাড়তে দেয় না।এটি একদমই আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।
সব শেষে, আপনার মনে রাখা উচিত যে সমগ্র স্তনের স্বাস্থ্য ভাল থাকলেই আপনি উজ্জ্বল এবং ভাল স্তন পাবেন। আপনি আপনার পছন্দের প্রতিকার ব্যবহার করা শুরু করুন, খুব শীঘ্রই আপনি এই অংশে উন্নতি করতে পারবেন।

কিছু পরামর্শ (Tips)

মাল বেরি নির্যাস (Mulberry extracts) : আপনি মাল বেরি (Mulberry) বা ল্যাকটিক অ্যাসিড (lactic acid) ব্যবহার করতে পারেন কারণ এগুলি ভিটামিন সি (vitamin C) এর ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে। এগুলির সাহায্যে খুব সহজেই স্তনের বোঁটাকে উজ্জ্বল করা যায়। ব্রণ বা ফোড়ার চারপাশের ত্বকে যে কালো দাগ তৈরি হয় সেই অংশকে বিবর্ণ করে এখানে নতুন ত্বক উৎপন্ন হয়। ফলে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে গোলাপি।
অ্যাব্রুটিন (Arbutin) : এই স্তনকে উজ্জ্বল করে। এটা কালো চামড়া অপসারণ করে এবং নতুন কালো চামড়া তৈরি হতে বাধা দেয়। এটা ত্রায়সিনেজ (tyrosinase) কমিয়ে ফেলে এবং মেলানিন (melanin) উৎপন্ন করে।
আপনি কমলালেবু, শসা, মধু, দুধ এবং অ্যাভোকাডো ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার কাছে উপরে উল্লিখিত উপাদানগুলো না থাকে। এগুলোও ত্বককে উজ্জ্বল করতে গুরুত্ব পূর্ণ ভাবে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি (vitamin C ) এর বিকল্প গুলি গ্রহণ করুন কারণ এগুলি কালো চামড়া তৈরি হতে বাধা দেয়। ভিটামিন সি ((vitamin C ) ) এন্টি – অক্সিডেন্ট (anti-oxidant ) – এর একটি ভাল উৎস যা শুধুমাত্র আপনার শরীরের অংশকে উজ্জ্বল করে তাই নয়, এটির ব্যবহারে আপনি পান একটি প্রখর দীপ্তি এবং আপনি হয়ে ওঠেন স্বাস্থ্যকর।
কমলা লেবু নিয়ে একটি জুস তৈরি করুন এবং তারপর এটি নির্দিষ্ট এলাকায় এটি প্রয়োগ করুন। এটা ভাল ভাবে শুকিয়ে যেতে দিন। দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য এক দিন অন্তর পুনরাবৃত্তি করুন। আপনি ত্বকে জ্বলুনি বা চুলকানি হয় তাহলে অন্য উপাদান ব্যবহার করুন।
এছাড়াও আপনি এই উদ্দেশ্যে যষ্টিমধু (Liquorice ) ব্যবহার করতে পারেন। এটিও আপনার জন্যে একই কাজ করে। আপনি আপনার স্তনের এবং যোনি দেশ পরিষ্কার করার জন্যেও এই যষ্টিমধুর নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শরীরের সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী আপনি এটাকে ঠাণ্ডা বা গরম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি প্রাকৃতিক ভাবে এগুলি না পান, তাহলে আপনি একটি পাওডার কিনতে পারেন এবং তারপর এটিকে জলে যোগ করুন। নির্দিষ্ট অঞ্চলের উপর এটি প্রয়োগ করুন এবং আপনি দেখতে পাবেন এটি অন্যান্য প্রতিকারের চেয়ে দ্রুত কাজ করে।

  • পরিশেষে, এটা মনে রাখতে হবে যে আমাদের শরীর অনেক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং আমরা বেড়ে ওঠার সাথে আমাদেরকে বিভিন্ন অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। মাঝে মাঝে আমরা নিজেদের ভাল চেহারা তৈরীর কাজে সফল হয়, কিন্তু আমদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আমরা সবাই অদ্বিতীয়, অনন্য এবং চিরকাল সুন্দর।

0 coment�rios:

পুরুষত্বে সমস্যায় প্রাকৃতিক আরোগ্যঃ বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের (Male) মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে তা হচ্ছে যৌন সমস্যা৷ দিন ...

পুরুষত্বে সমস্যায় প্রাকৃতিক আরোগ্য – Natural cure for sexual dysfunction

পুরুষত্বে সমস্যায় প্রাকৃতিক আরোগ্যঃ
বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের (Male) মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে তা হচ্ছে যৌন সমস্যা৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌণ ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে আপনি সচেতন হয়ে যান৷ জেনে নিন কেন আপনার মধ্যে থেকে এই চাহিদা ক্রমঃ ক্ষয়মান (loss of sexual interest)৷

হোম রেমেডি (Home Remedy) পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি (Home remedy)৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবে মাত্র দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষত্রে হোম রেমেডি(Home Remedy) কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিত্সা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি(Home Remedy) প্রযোজ্য নয়৷

এবার জেনে নেওয়া যাক যৌন অক্ষমতার (Sexual Impotence) প্রথম ধাপের চিকিত্সাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার (Benefits) হয়–

রসুন (Garlic):
যৌন অক্ষমতার (Sexual Impotence) ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ (Penicillin for poor) বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক (Antiseptic) এবং রোগ প্রতিরুধক (immune booster) হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য(Available) সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে (As a food) গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার(Recall sexual desire) ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় (Disease or accident) আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত(Nymphomania) হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷

ব্যবহারের নিয়মঃ
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের (Garlic) কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির (Bread from wheat) সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায়(Increase sperm) এবং সুস্থ স্পার্ম (Healthy sperm) তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ (Onion):
কাম-উত্তেজক (Sexual excitement) ও কামনা বৃদ্ধিকারী (Sexual increasing) হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷

ব্যবহারের উপায়ঃ
সাদা পেঁয়াজ(White onion) পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর (Honey) সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক আপনার পেট খালি(Empty stomach) রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন অর্থাৎ স্পারমাটোরিয়া (spermatorrhea) সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

এছাড়া পেঁয়াজের রসের (Onion juice) সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা(Sexual excitement) বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷

গাজর (Carrot):
১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল(অর্ধ সিদ্ধ) ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷

কলা (Banana):
আমরা প্রত্যেকেই জানি, যদি ডাক্তার থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। কিন্তু যদি আপনি যৌন স্বাস্থ্যে এবং যৌন বন্ধ্যাত্ব থেকে দূরে থাকতে চান, তবে প্রতিদিন কলা খান। কারণ এই ফলে ব্রমেলেইন (Bromelain) নামে এনজাইম আছে, যা যৌন বন্ধ্যাত্ব দূর করবে এবং যৌন শক্তি বাড়াবে। কলা ভিটামিন বি এর একটি চমৎকার উৎস, যা দৈহিক শক্তি (Stamina) বাড়ায়।

তাই এখন আর দুশ্চিন্তা করবেন না৷ সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে(First stage) আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতি গুলি (This way) মেনে চলে দেখুন। হয়তঃ প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷

0 coment�rios:

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেকোনো মানুষের জন্য উপকারী। অনেকে ভাবেন, স্বাস্থ্যকর খাবার বেশ দামি। তবে ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুডের তুলনায় কিন্তু স্বা...

পুরুষের খাওয়া-দাওয়া : তিন পরামর্শ

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেকোনো মানুষের জন্য উপকারী। অনেকে ভাবেন, স্বাস্থ্যকর খাবার বেশ দামি। তবে ফাস্টফুড বা জাঙ্ক ফুডের তুলনায় কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবারের দাম তেমন বেশি নয়।

আসলে নারী-পুরুষ উভয়েরই খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা উচিত এবং খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। পুরুষদের খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।   


১. সকালের নাশতা বাসায় করুন

স্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়া কিন্তু দিনটি ঠিকঠাকমতো শুরু হয় না। অনেকেই সকালের নাশতা হোটেলে করেন। তবে হোটেলের অতিরিক্ত ঝাল-মসলাযুক্ত খাবার বুক জ্বালাপোড়া, এসিডিটির সমস্যা তৈরি করে। তাই হোটেলে না খেয়ে সকালের নাশতা ঘরে করার অভ্যাস করুন।

সকালের নাশতায় রাখতে পারেন ওটমিল, সেদ্ধ ডিম, কলা ইত্যাদি। এসব খাবার শরীরের জন্য উপকারী।

২. খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখুন

খাদ্যতালিকায় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। প্রোটিনের চাহিদা পূরণে খেতে পারেন মাংস, ডিম, সয়, পনির, দুধ ইত্যাদি।

৩. মদ্যপান এড়িয়ে চলুন

মদ্যপানে যেমন টাকার শ্রাদ্ধ হয়, তেমনি অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব পানীয় ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই এসব পানীয় এড়িয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

0 coment�rios:

গলাব্যথা বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা। সাধারণত শিশু ও তরুণদের এই সমস্যা হয়। অ্যালার্জি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এসিড রিফ্ল্যাক্স, সংক্রমণ ইত...

শিশুর গলাব্যথায় লেবু ও মধুর ব্যবহার

গলাব্যথা বেশ প্রচলিত একটি সমস্যা। সাধারণত শিশু ও তরুণদের এই সমস্যা হয়। অ্যালার্জি, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এসিড রিফ্ল্যাক্স, সংক্রমণ ইত্যাদি গলাব্যথার কারণ।
গলাব্যথা কমাতে লেবু ও মধু বেশ উপকারী। গলাব্যথা কমাতে লেবু ও মধুর ব্যবহার জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি। 

লেবু

গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা কমাতে লেবু উপকারী। লেবুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান।

•    একটি পাত্রে কয়েক টুকরো আদা ও কয়েক টুকরো খোসাসহ লেবু নিন।
•    এর মধ্যে পানি দিয়ে ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
•    এই তরলটির মধ্যে মধু মিশিয়ে পান করুন।
•    দিনে কয়েকবার শিশুকে এই পানীয় পান করতে দিন।


মধু

এক বছরের কম বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে মধু ব্যবহার করবেন না। এক বছর বা তদূর্ধ্ব শিশুর ক্ষেত্রে মধু খাওয়াতে পারেন।
১. এক কাপ গরম পানিতে কাঁচা মধু মিশিয়ে শিশুকে পান করতে দিন।
২. এক কাপ হালকা গরম পানির মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। এই পানীয় শিশুকে পান করান।
৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

0 coment�rios:

Pages (14)1234567 »